এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ আর নেই। ৯৪ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। এ ঘোষণা দিয়েছেন তার ছেলে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। পরিবারের পক্ষে একজন মুখপাত্র বলেছেন, জর্জ বুশ সিনিয়র নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। তিনি শুক্রবার রাতে মারা গেছেন হিউস্টনে। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তার আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের অধীনে দু’দফায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। শতকরা ৯০ ভাগ জনপ্রিয়তার রেটিং সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের বিষয়গুলোকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ ছিল।
তাকে ১৯৯২ সালের নির্বাচনে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন বিল ক্লিনটন। বুশ সিনিয়র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ১৯৬৪ সালে। যোগ দেন রিপাবলিকান দলে। তার আগে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ছিলেন বিমানচালক এবং টেক্সাসের একজন ধনকুবের তেল ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা রকম জটিলতায় ভুগছিলেন। গত এপ্রিলে সংক্রমণের কারণে তাকে ভর্তি করা হয় একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের পরিচয় নানারকম। তিনি একজন সিনেটরের ছেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে তিনি ছিলেন যোদ্ধা বিমারু, ছাত্র অবস্থায় অ্যাথলেট, টেক্সাসের তেলের ব্যবসায়ী, রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান, ব্যতিক্রমী একজন কূটনীতিক, একজন গোয়েন্দা প্রধান। ক্ষমতায় থাকা একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ১৮৩৬ সালের পর এমন ঘটনা এটাই প্রথম। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রেন্ট স্কোক্রোফট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেকারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শীতল যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ওই সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাচ্ছে। দুই জার্মানি একীভূত হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতিতে ভয়ঙ্কর এক পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ নেন সিনিয়র বুশ। তিনি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪ লাখেরও বেশি সেনা নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য, কুয়েত থেকে ইরাকি সেনাদের তাড়িয়ে দেয়া। ওই সময় ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখল করে নিয়েছিলেন।
একে কুয়েতের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে আখ্যায়িত করেন সিনিয়র বুশ। এরপরই সেখানে যুদ্ধ শুরু করেন তিনি।