এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসিতে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, অনেক প্রার্থীর চেয়ে তাদের স্ত্রীরাই বেশি সম্পদশালী। স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে প্রার্থীদের ঋণ নেয়ার নজিরও আছে। অনেক প্রার্থীর নিজের বাড়ি নেই, থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে। কোনো প্রার্থী আবার স্ত্রীর উপহার দেয়া গাড়িতে চড়েন।
প্রায় সব প্রার্থীর নগদ টাকার পরিমাণ অস্বাভাবিক বেশি। তাদের স্ত্রীদের কাছেও নগদ টাকার পরিমাণ অনেক। সব প্রার্থী ও তাদের স্ত্রীদেরই ব্যাংকে সঞ্চয় রয়েছে। সেখান থেকে বছরে মোটা অংকের মুনাফা পাচ্ছেন।
আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা জমা দেয়া হয়েছে সেখানে প্রার্থী ছাড়াও তাদের স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করেই এমন চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওবায়দুল কাদের থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসনের প্রার্থী। হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে। নিজের নামে কোনো বাড়ি নেই। তার যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তার চেয়ে বেশি আছে তার স্ত্রীর।
তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- উত্তরায় ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে আছে ৬০ শতাংশ অকৃষি জমি। স্ত্রীর ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে। বাড়িভাড়া/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান থেকে ভাড়া বাবদ বছরে তার আয় ১৩ লাখ ৬৮ হাজার, পেশা থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার, বই লিখে আয় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫১ টাকা। মাসিক গড় আয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৪ টাকা। বছরে স্ত্রীর আয় বাড়িভাড়া/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৬০ টাকা, অন্যান্য আয় দেখানো হয়েছে- ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯ টাকা।
তার নিজের নগদ টাকা আছে ৫৫ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪২ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার। ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ব্যক্তিগত গাড়ি, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ তোলা স্বর্ণ আছে।
ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উপহার হিসেবে পাওয়া। নিজের নামে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে।
স্ত্রীর হাতে আছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই। আছে ১ লাখ টাকা মূল্যের ২০ তোলা স্বর্ণ। ১২ হাজার টাকার টিঅ্যান্ডটি ও মোবাইল আছে। আছে ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র।
স্ত্রীর উপহারের গাড়িতে চড়েন ফখরুল : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ৩১ মার্চ দেয়া স্ত্রীর গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। বিয়ের সময় পাওয়া ১০ ভরি স্বর্ণসহ ৪৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে তার। তার স্ত্রীর আছে ৯০ লাখ ৮৩ হাজার টাকার সম্পদ।
ফখরুলের কাছে নগদ ৪২ লাখ ৭১ হাজার ও ব্যাংকে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আছে। তবে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৮৭০ টাকা রয়েছে। তিনি বছরে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা আয় করেন। এছাড়াও ফখরুলের কৃষি খাত থেকে ৯৯ হাজার ৫০০, মার্কেটের ফার্মের শেয়ার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৪৭, শেয়ার বাজার ও ব্যাংক আমানত থেকে ১ লাখ ৪১ হাজার ১৮১ টাকা, দ্য মিজার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার সম্মানী, ব্যাংক সুদ থেকে আয় ২ হাজার ৮০৫ টাকা।
মান্নার চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি : ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বগুড়া-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। মান্নার চেয়ে তার স্ত্রী বেশি সম্পদশালী। মান্নার সম্পদের পরিমাণ ২৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। মান্নার নগদ টাকা আছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর তার স্ত্রীর আছে প্রায় ২২ লাখ টাকা।
নবীউল্লাহর চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি : ঢাকা-৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী নবীউল্লাহর চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি। তার কাছে নগদ ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা থাকলেও আর স্ত্রীর আছে নগদ ৭২ লাখ টাকার বেশি। আছে অন্য সম্পদও।
হাজী সেলিমের স্ত্রীর কাছে নগদ জমা ২ কোটি টাকা : ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজী মো. সেলিমের স্ত্রীর কাছে নগদ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫৭০ টাকা আছে। হাজী সেলিমের কাছে নগদ আছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। তার সম্পদের পরিমাণ ৫১ কোটি টাকা। আর তার স্ত্রীর নামে আছে ২০ কোটি টাকার সম্পদ। নির্ভরশীলদের কাছে আছে আরও ৫ কোটি টাকার সম্পদ। তবে তিনি ঋণের কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি।
কল্পনার ঋণ সাড়ে ৩ কোটি টাকা : ঢাকা-৭ আসনের বিএনপির প্রার্থী নাসিমা আক্তার কল্পনার সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তার স্বামী বিএনপির প্রয়াত নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর সম্পদের পরিমাণ ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। কল্পনার ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এছাড়াও তাদের রয়েছে অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।
মেননের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি : ঢাকা-৮ আসনের মহাজোটের প্রার্থী রাশেদ খান মেননের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেশি। মেননের সম্পদের পরিমাণ ১৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে আছে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে দেড় কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে। নিজের নামে আছে পূর্বাচলে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার জমি, ফ্ল্যাট নেই। মেননের নগদ টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, স্ত্রীর নগদ টাকার পরিমাণ ৮ লাখ টাকা।
স্ত্রীর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন আব্বাস : ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসের দায়ের পরিমাণ ৫৯ কোটি টাকা। তিনি তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। মির্জা আব্বাসের নগদ টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর আছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। তাদের অন্যান্য সম্পদও রয়েছে।
সাবের হোসেনের আয়ের বড় অংশ আসে সঞ্চয়ী উপকরণ থেকে : ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরীর বছরে আয় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয় থেকে বছরে তার মুনাফার পরিমাণ ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সাবের হোসেনের নিজের রয়েছে ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এছাড়া আছে অন্যান্য সম্পদ।
স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে রহমতুল্লাহর ঋণ : ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী একেএম রহমতুল্লাহ তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে এবং নিজের কোম্পানি থেকে ৪৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। তাদের অন্য সম্পদও রয়েছে।
আসাদুজ্জামান খানের আয় স্ত্রীর সমান : ঢাকা-১২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বছরে আয় ৬৪ লাখ ২২ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর আয় ৬১ লাখ টাকা। নিজের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর সম্পদ রয়েছে ২ কোটি টাকার বেশি।
কামাল মজুমদারের স্ত্রীর সম্পদ নেই : ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ বা আয় নেই। তার নিজ নামে কোনো ঋণও নেই।
সাহারা খাতুনের আয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা : ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের বছরে আয় ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা আছে ১০ লাখ ৮ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংকে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ২৬ হাজার টাকার এফডিআর আছে। একটি গাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৩১ হাজার টাকা। ৫ তোলা স্বর্ণ আছে। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কিছু জমিও আছে।
ইনুর চেয়ে স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা বেশি : কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোট প্রার্থী হাসানুল হক ইনুর চেয়ে তার স্ত্রীর নগদ টাকা বেশি। ইনুর কাছে নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। আর তার স্ত্রীর নগদ টাকা ৬০ লাখের বেশি। এছাড়া দু’জনের নামেই অন্য সম্পদ রয়েছে।
মিলনের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি : রাজশাহী-৩ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন। তার চেয়ে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেশি দেখানো হয়েছে। তার স্থাবর সম্পদ ৭৫ লাখ ৮ হাজার ৬৭১ টাকা। আর তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৫ টাকার। তার নগদ টাকার মধ্যে- ফিক্সড অ্যাসেট ৩৫ হাজার টাকা, মজুদ পণ্য ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭২৫ টাকা, ক্যাশ ও ব্যাংকে ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ টাকা। এছাড়া ৫ ভরি স্বর্ণ যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। আর তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৫ টাকা। দৈনিক বার্তা ভবনের শেয়ারে বিনিয়োগ ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
স্ত্রীর কাছে মোহাম্মদ নাসিমের ঋণ ৫ লাখ টাকা : আওয়ামী লীগের সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। নির্বাচনী হলফনামায় তিন এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া আছে অন্য সম্পদও।
ভাড়াটিয়াদের কাছে রকিবুল করিমের দেনা ৭৪ লাখ : সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ রকিবুল করিম খানের কাছে ভাড়াটিয়ারা প্রায় ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা পাবেন। এ টাকা তিনি অগ্রীম বাড়িভাড়া বাবদ নিয়েছেন। তিনি ফিনিক্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এমদাদুল হকের বিও অ্যাকাউন্ট ঋণ ২০ কোটি : রংপুর-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হকের শেয়ার বাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ নিয়েছেন ১৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৬১ টাকা।
বাড়ি নেই ডা. এনামের : ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মো. এনামুর রহমানের নিজের কোনো বাড়ি নেই। ২০১৩ সালে চিকিৎসা পেশা থেকে তিনি আয় করতেন বছরে ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, যা বর্তমানে নেই। ওই সময়ে তার স্ত্রী চিকিৎসা পেশা থেকে আয় করতেন ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, তাও এখন নেই।
কোম্পানির পরিচালক হিসেবে ডা. এনামুর রহমানের চেয়ে স্ত্রীর আয় বেশি। পরিচালক হিসেবে ডা. এনামুর রহমান বছরে পান ৩ লাখ ৭০ হাজার, তার স্ত্রী পান ১২ লাখ ৮৯ হাজার। পারিতোষিক ভাতা হিসেবে তিনি পান ১ লাখ ৮০ হাজার ও স্ত্রী পান ৭ লাখ ৩৬ হাজার। ব্যাংকে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার এফডিআর আছে।
তার নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৫ টাকা ও স্ত্রীর নগদ আছে ১৮ কোটি ৮ লাখ ২৯ হাজার ২৪৯ টাকা।
মেয়েদের কাছে ঋণগ্রস্ত মোল্লা : গত ৫ বছরে বাড়িভাড়া থেকে আয় ১৫ গুণ বাড়লেও তিন মেয়ের কাছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা। বাড়িভাড়া থেকে তার আয় ১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৬ টাকা। তিন মেয়ের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা বিনা সুদে ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া মতিউর রহমানের কাছে থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ নেয়া হয়েছে। কারখানা ভবন নির্মাণের নিমিত্তে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে অগ্রীম ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬০ টাকা ধার গ্রহণ।