এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলমান জি-২০ সম্মেলনে আতঙ্কিত ও ভীত মনে হয়েছে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে। সম্মেলনে তিনি বিশ্ব নেতাদের থেকে একাকি দূরে দূরে সরে ছিলেন। বিশ্ব নেতারাও তাকে এড়িয়ে গেছেন বারবার। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য জি-টুয়েন্টি সম্মেলন সবসময়ই একটি পরীক্ষা। খাসোগি হত্যার পর আর্জেন্টিনায় এবারের এই সম্মেলনেই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাজির হয়েছেন তিনি। তাকে হত্যার আদেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দেয়া হয়েছিল বলেই ধারণা করা হয়। ফলে আন্তর্জাতিক মহল সৌদি আরবের সঙ্গে শীতল আচরণ করতে যাচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য বুয়েন্স এয়ার্সের এই সম্মেলন ছিল একটা দারুণ সুযোগ। এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রথা মাফিক সম্মেলনে শীর্ষ নেতাদের ছবি তোলা হচ্ছিল।
শীর্ষ নেতাদের গ্রুুপ ছবি তোলার সময় সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান নিজে থেকেই একেবারে সারির শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে আসা নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন একমাত্র আরব নেতা। স্যুট টাই পরিহিত একদল প্রভাবশালী মানুষের ভিড়ে নিজের পোশাকের কারণে তিনি দূরেই ছিলেন। সবাই এড়িয়ে গেলেও জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে সালমানকে চাপ দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এসময় তাকে কিছুটা অনিশ্চিত, এমনকি নার্ভাসও মনে হয়েছে। বিশ্ব নেতাদের কেউ কেউ তার সঙ্গে সৌজন্যসূচক দু একটি কথা বলেই এড়িয়ে গেছেন। এমনকি অনেকেই হাত মেলাতেও ভুলে গেছেন! যেসব বিশ্বনেতা সালমানের সঙ্গে হাত মিলাতে অস্বীকার করেননি সেই ছবি আবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ তাড়াহুড়া টুইটারে পোষ্ট করেছেন।
তেরেসা মে ছাড়াও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইয়ানুয়েল ম্যাক্রোন সালমানকে খাসোগি হত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের চাপ দিয়েছেন। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে ম্যাক্রোনের এ আহবান না শোনার ভান করছেন সালমান। তবে এ সম্মেলন থেকে ¯পষ্ট হয়ে গেছে যে, সালমানের ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করা সহজ হবে না। উল্লেখ্য, গত ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যা করে দেশটির কর্মকর্তারা। এ ঘটনা সৌদি রাজপরিবারকে পুরো বিশ্বের সামনে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিয়েছে।