এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিবিড় নজরদারিতে রেখেছে বৃটেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। শুক্রবার কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদ এক রিপোর্টে এ কথা বলেন। এতে কমনওয়েলথভুক্ত ৩০টি দেশের মানবাধিকার ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বৃটেনের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস ‘অ্যানুয়াল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি রিপোর্ট’ শিরোনামে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে সাম্প্রতিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও এর প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে নতুন একটি আইন সুশীল সমাজের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
তারা মনে করেন, এতে সরকারের সমালোচনাকে দুর্বৃত্তায়ন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা খুব সাধারণ বিষয়ই রয়ে গেছে। সম্প্রতি সেখানে একজন ব্লগার হত্যার খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল-১৯ এর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বৃটেন কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বৃটেন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপরও গভীর নজরদারি করছে।
সাতটি মৌলিক বিষয়ের ভিত্তিতে লর্ড আহমেদ তার এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সেগুলো হলো- আধুনিক দাসত্ব, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বেসামরিক নাগরিকদের অবস্থা, লিঙ্গ সমতা, নারী শিক্ষা, সমকামীদের অধিকার এবং মৃত্যুদণ্ড ও নির্যাতন প্রতিরোধ। রিপোর্টে এসব ইস্যুতে কমনওয়েলথভুক্ত ৩০টি দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। নারী শিক্ষার বিষয়ে রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি দেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে উন্নতি করা দরকার। গত নভেম্বরে বৃটেনের চেম্বার অব হাউস অব কমন্সে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নারী সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেও একই আহ্বান জানান নারী সংসদ সদস্যরা। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৯০ জন নারী জনপ্রতিনিধি ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বব্যাপী যৌন সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিপোর্টে বলা হয়, বৃটেন যৌন সহিংসতা ও এর আতঙ্ক প্রতিরোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গত জুলাই থেকে বাংলাদেশে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে ইউএন উইমেন ও কানাডার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে বৃটেন। এ ছাড়া দেশটি রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় ১২৯ মিলিয়ন পাউন্ড দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।