এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : ব্রিটেন চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে থাকতেও পারে না চাইলে চুক্তি অনুযায়ী বের হয়েও যেতে পারে। ঢাকঢোল পিটিয়ে আর ঘরে তুলবে না।
ব্রেক্সিট নিয়ে নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন। প্রায় ১৮ মাসের আলোচনা আর বিতর্কের পর গত মাসে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় উভয়পক্ষ।
সমঝোতার পর বল এখন ব্রিটেনের কোর্টে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র কাজ এখন পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস করিয়ে নেয়া।
কিন্তু চুক্তিটিকে ত্রুটিপূর্ণ ও ব্রিটেনের স্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে এতে সমর্থন না দেয়ার ব্যাপারে একজোট হয়েছে তেরেসার দলের অনেক এমপিসহ বিরোধীরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয়ের আশঙ্কায় আগেই ভোটাভুটি বাতিল করেন তেরেসা। এক মাসেরও বেশি সময় পিছিয়ে দিয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন ভোটাভুটির তারিখ।
ইইউ’র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু ‘নতুন করে আর কোনো আলোচনার সুযোগ নেই’ বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইইউ নেতারা। ফলে ‘ব্রেক্সিট সংকটে’ ডুবতে বসেছে তেরেসা ও তার সরকার।
মঙ্গলবার বিবিসি ও এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এক রায়ে ইইউ’র শীর্ষ আদালত জানান, যুক্তরাজ্য চাইলে সিদ্ধান্ত বদলে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চে ব্রেক্সিটের নির্ধারিত সময়ের আগে ইইউতে ফিরে আসতে পারবে।
সোমবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটি বাতিল করার পরই তেরেসা জানান, আলোচনার উদ্দেশ্যে ফের ইউরোপ যাবেন তিনি। মঙ্গলবার সকালেই যাত্রা করেন তিনি। এদিন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এরপরও তার নিজ দলের এমপি ও বিরোধীরা তার এ চুক্তি মানবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান জা ক্লদ জাঙ্কার হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ নেই।