এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আগামী ৩০ ও ৩১শে ডিসেম্বর এয়ারলাইন্সের টিকিটে টান পড়েছে। এ দুই তারিখে বাংলাদেশ থেকে অপারেটকৃত বেশিরভাগ দেশি বা বিদেশি এয়ারলাইন্সের সিট খুব বেশি খালি নেই। ইকোনমি ক্লাসের টিকিট মোটামুটি শেষ। তবে, মিলছে বিজনেস ক্লাসের টিকিট। ইকোনমি বা বিজনেস ক্লাসের কিছু টিকিট মিললেও তা কিনতে গেলে উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। তবে, এ দুই তারিখে দেশের বাইরে থেকে আসতে টিকিটের উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে না। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অজানা কারণে এ দুই তারিখে এয়ারলাইন্সের টিকিট রীতিমতো সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। অতীতে এমনটা ছিল না।
ইংরেজি নববর্ষ বরণ করতে আগে থাইল্যান্ড বা আশপাশের কয়েকটি দেশের টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি হতো।
এবার পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে সহজে টিকিট মিলছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভো এয়ার, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, কুয়েত, তার্কিশ, এয়ার এরাবিয়া, এয়ার এশিয়া, ফ্লাই দুবাই ও ইতিহাদের বিভিন্ন রুটে ৩০ ও ৩১শে ডিসেম্বরের টিকিট বিক্রি প্রায় শেষ।
কাতার, ইতিহাদ ও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট সার্চ করে দেখা যায়, ৩০শে ডিসেম্বর রাতের টিকিটের মূল্য সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ৩১শে ডিসেম্বর সারা দিনের টিকিটের মূল্যও অনেক বেশি। এসব তারিখে কানাডা, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে ইকোনমি ক্লাসে ওয়ানওয়ে ভাড়া পড়ছে লাখ টাকার উপরে। এমিরেটস এয়ারলাইন্সে সবচেয়ে ভাড়া বেশি। দেশের নামকরা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অনেকে টিকিট কিনেন নি তবে খোঁজ খবর রাখছেন। বলেছেন, ২৫শে ডিসেম্বর বা তারও পরে টিকিট কাটতে পারেন। এজন্য সরাসরি টিকিট পাওয়া না গেলে কি করা যায় ওই বিষয়েও আলাপ আলোচনা করে রেখেছেন অনেকেই।