এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : রাজধানীর মালিবাগে বাসের চাপায় দুই পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও যানবাহনে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। গতকাল দুপুরে সুপ্রভাত বাসের চাপায় দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরো এক শ্রমিক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিম নামের এক শ্রমিক।
হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় পলি নামে আরেক জনের। তারা মালিবাগের এমএইচ গার্মেন্টের শ্রমিক। নিহতরা মধ্যাহ্ন বিরতিতে মালিবাগের বাসা থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে কাজে ফিরছিলেন। ঘটনার পর পুলিশ বাস এবং চালককে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিবাগ এলাকায় বিকাল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি বাস ভাঙচুর এবং চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
বিক্ষোভের সময় মতিঝিল ট্রাফিক জোনের এডিসি শামসুন নাহার ও একজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে সুপ্রভাত বাসের চাপায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।
এ কারণে বিক্ষুব্ধ গার্মেন্ট শ্রমিকরা কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। খবর পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং সুপ্রভাত বাসটি এবং বাসেরচালককে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা ইতিমধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করেছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা দায়ী আমরা তাদের সর্বোচ্চ বিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ডিসি বলেন, আমাদের মতিঝিল ট্রাফিক জোনের এডিসি শামসুন নাহার আহত হয়েছেন। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরো একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদিকে কয়েকজন শ্রমিককে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাহানারা নামের এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, আমরা যখন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামি তখন পুলিশ আমাদের ব্যাপক মারধর করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে ডিসি বিপ্লব বলেন, শ্রমিকরা যখন বিক্ষুব্ধ ছিল আমরা তাদের বাধা দেয়ার এবং শান্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা তাদের কোনো ধরনের আঘাত করি নি। বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মালিবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।