জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মীর হেলালউদ্দিন।
শুনানিতে বেগম জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে বলেন, এই মামলায় তাকে ৭ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অল্প সাজা হলে সেই আসামী জামিন পেতে পারেন। তাছাড়া তিনি দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বয়সও হয়েছে অনেক। শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়া। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিন প্রয়োজন।
গত ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসে। গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চ খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।