স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য পানীয় জল সরবরাহে দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ লক্ষ্যে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি এখন পানীয় জলের সংকট নিরসনে প্রয়োজনমুখী প্রকল্প গ্রহণ করছে।
তিনি বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে দু’দিনব্যাপী দ্বিতীয় উপকূলীয় পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জন্মগতভাবেই আমরা বাংলাদেশের মানুষ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই টিকে থাকি। তাই আমাদের সামনে যে কোনও সমস্যাই আসুক না কেন আমরা তার সমাধান করে সামনে
এগিয়ে যেতে পারবো। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তথা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, এসডিজিও অর্জন করতে সক্ষম হবো। সরকার পানি, জ্বালানি, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ সকল দিক নিয়ে কাজ করছে এবং সমস্যা নিরসনের ব্যাপারে অগ্রাধিকারভিত্তিক চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে। দেশে দরিদ্রতা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই চান সমস্যার সমাধান করে দেশকে উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যেতে যাতে মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়।
তিনি উপকূলীয় এলাকার পানীয়জণ সমস্যার ব্যাপারে সরকার সম্যক অবহিত বলে উল্লেখ করেন এবং বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে তার মন্ত্রণালয় থেকে সবধরনের প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যার ফলে উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ অংশ নিতে পারছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডাইরেক্টর ফ্রেদ উইতেভেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। সূচনা বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের মো. নূরুল আলম রাজু। সঞ্চালনা করেন এওসেডের শামীম আরেফিন। সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনার সংসদ সদস্য, খুলনার জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।