২০১৯ বিশ্বকাপের রেশ শেষ না হতেই ভাবনায় চলে আসছে ২০২৩ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ চার বছর পর, তবে ‘বাছাইপর্ব’ শুরু হয়ে গেছে এখনই। এ বিশ্বকাপও হবে ১০ দলেরই। গত বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গী হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা অন্য সাতটি দল। এবার আর র্যাঙ্কিংয়ে হিসেব নেই। ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে হলে তাই আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে।
২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশকে সব সময় ভাবনায় রাখতে হয়েছে র্যাঙ্কিং। র্যাঙ্কিংয়ের সেরা সাতে থেকেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার হিসাবটা ভিন্ন।
আগামী বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে দেশে-বিদেশে চারটি করে বাংলাদেশকে খেলতে হবে মোট আটটি ওয়ানডে সিরিজ।
প্রতিটি সিরিজ খেলতে হবে বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে। এই আটটি সিরিজের ২৪টি ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে বিশ্বকাপের হিসাব-নিকাশ। দেশের মাঠে অন্য দলকে ডেকে টানা সিরিজ জিতে পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। বিশ্বকাপের হিসাব-নিকাশ থাকবে বলে কোনো দলেরই কোনো সিরিজ হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্ধীতা দেখা যাবে প্রতিটি সিরিজেই। ২০২৩ বিশ্বকাপের পথ মসৃণ রাখতে এই সিরিজগুলোয় ভালো করে সেরা আটে থাকতেই হবে বাংলাদেশকে। না হলে খেলতে হবে আরও একটি বাছাইপর্ব। সংশয় দূর করতে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই সেরা আটেই থাকতে চাইবে।
বাংলাদেশকে যে সিরিজগুলো খেলতে হবে
সময়: প্রতিপক্ষ
২০২০ মে: আয়ারল্যান্ড (অ্যাওয়ে)
২০২০ ডিসেম্বর: শ্রীলঙ্কা (হোম)
২০২১ জানুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (হোম)
২০২১ ফের্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ড (অ্যাওয়ে)
২০২১ জুন: জিম্বাবুয়ে (অ্যাওয়ে)
২০২১ অক্টোবর: ইংল্যান্ড (হোম)
২০২২ ফের্রুয়ারি: আফগানিস্তান (হোম)
২০২২ মার্চ: দক্ষিণ আফ্রিকা (অ্যাওয়ে)
বাংলাদেশের সঙ্গে খেলবে না: ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও হল্যান্ড।