এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি শুরু হবে ১৩ মে। তার আগে ২৩ এপ্রিল হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্যাম্প শুরু হয়ে যাবে। এদিকে ‘এ’ দল বা জাতীয় দলের জন্য তুষার ইমরান, নাঈম ইসলামরা নির্বাচকদের বিবেচনায় আছেন। কিন্তু দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু যেভাবে বললেন তাতে স্পষ্ট যে, সিনিয়র ক্রিকেটারদের আবার জাতীয় দলে ফেরা কঠিন। নাঈম-তুষাররা রান করলেও তাদের ফিটনেস নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন নির্বাচকরা। এ নিয়ে কাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিনহাজুল বলেন, ‘এ- দলে সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশন রাখা হবে। ‘এ’ দল গঠনের দুই সপ্তাহ পর জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য দল ঘোষণা করা হবে।’ জাতীয় দলের বাইরে যেসব সিনিয়র ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছেন তাদের ফেরার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘তুষার ইমরানের পারফরম্যান্স ভালো, তার বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেরারাই সুযোগ পাবে।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিনিয়র ক্রিকেটাররা টেকনিক্যালি কতটা কার্যকর, সেটা আমাদের দেখতে হবে।’ এইচপি দলের জন্য ২২ জনের একটি তালিকা করা হয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্যাম্পের জন্য দল ঘোষণা করবে বিসিবি।
এদিকে বুধবার বিসিবির সভায় খেলোয়াড়দের চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে। খেলোয়াড়দের চুক্তি নিয়ে মিনহাজুল বলেন, ‘আমরা একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। দুই বছর ঘরোয়া পর্যায়ে যারা ৭৫ ভাগ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলবে তারাই চুক্তিতে থাকবে।’
ফুটবল খেলতে গিয়ে ক্রিকেটাররা ঘনঘন ইনজুরিতে পড়ছেন। কয়েকদিন আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে নাসির হোসেনের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। তাকে ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের শেষদিন বগুড়ায় ফুটবল খেলতে গিয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে গেছেন মুশফিকুর রহিম। এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের সতর্ক করতে চায় বিসিবি। এ নিয়ে মিনহাজুল বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ফুটবল খেলার ওপর খানিকটা বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।’