এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : স্বৈরাচারী শাসনের চেকলিস্ট দিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। কী কী বৈশিষ্ট্য থাকলে কোন সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে চিহ্নিত করা যায় তার একটি বিবরণ দিয়েছেন তিনি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিবরণ দেন। নিচে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদ-এর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ও পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।
ইদানীং কালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কি তা হয়তো ভুলে গিয়েছি ও নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কি তা চিহ্নিত করতে পারি।
স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট:
১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যক্ত করতে ভয় পায়।
২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকারকে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করা হয়।
৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়।
৪. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।
৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশ সহ অন্যান্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৭. যখন সাধারণ নাগরিক সহ সকলের কথাবার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়।
৮. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।