একাধিক যুব উদ্যোক্তা জানান, ফেরদৌসী বেগম তার পদে থেকে কেবল নিজের দলীয় লোক এবং মতের লোকদের সহায়তা করেছেন। সাধারণ যুব উদ্যোক্তাদের প্রতি তার আচরণ চরম খারাপ। তিনি দামি উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে শুধুমাত্র তার আস্থাভাজন উদ্যোক্তা, নীলুফার ইয়াসমিন নীলুকে দিয়ে প্রশিক্ষণ করান। অন্য সাধারণ উদ্যোক্তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন না এবং অন্য কোনো আত্মকর্মী, সংগঠক এবং উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ দেয়া হয় না। তিনি ও নীলু মিলে মতিঝিল ইউনিটে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।
এছাড়া, তার স্বামী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কর্মসূচির ১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতি কার্যক্রমে ফেরদৌসী বেগমের ইন্ধন ছিল । আবুল কালাম আজাদ ২০২৩ সালে দুর্নীতির দায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
মতিঝিল ইউনিটের অধীনে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের আসন সংখ্যা ৩০ জন করে হলেও শুধুমাত্র কয়েকজন ছাত্র/ছাত্রীকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করানো হয়। সাধারণত, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী একজন যুবক একটি বা সর্বোচ্চ দুটি প্রশিক্ষণ নিতে পারেন, কিন্তু মতিঝিল ইউনিটে একই প্রশিক্ষণার্থী সব প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করতেন।
যুব উন্নয়নের নিয়ম অনুযায়ী ১৮-৩৫ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হয়, কিন্তু ভোটার আইডিতে বয়স কমিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করা হয়। সহকারী থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাকলী আক্তার এই কাজে সহায়তা করে আসছেন। তার স্বামী খন্দকার সাইদুর রহমান বিপ্লবও দুর্নীতির দায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বহিষ্কৃত ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, যুব উদ্যোক্তাদের নামে ঋণ নিয়ে তারা খেলাপি হয়েছেন।
ফেরদৌসী বেগম ও কাকলী আক্তার যুব সংগঠকদের রেজিস্ট্রেশনের নামে সাধারণ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে টাকা ও উপহার সামগ্রীর দাবি করেন।
ঢাকা জেলার উপপরিচালক বিরাজ চন্দ্র সরকারের সহযোগিতায় এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা মতিঝিল ইউনিট থানায় প্রতিনিয়ত ঘটে আসছে বলে জানা যায়।