এশিয়ান বাংলা, বগুড়া : রাজধানীর পরপর দুটি দুর্ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার মধ্যে বগুড়ায় ট্রাকের নিচে পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে এক শিশুর।

রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত শিশুটিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সুমি বেগম (৮) শেরপুরের শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফুলতলা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা দোকান কর্মচারী দুলাল মিয়া এবং গৃহকর্মী মরিয়ম বেগমের মেয়ে। স্থানীয় ব্র্যক স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে সে।

মা মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে সুমি মায়ের সঙ্গে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। শেরুয়া এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।

“ওই সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাকের নিচে পড়ে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।”

তার বাম হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং কপাল ও মুখে আঘাত পেয়েছে বলেও মরিয়ম বেগম জানান।

মরিয়ম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন সুমিকে ওই এলাকার দুবলাগাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে বিকাল ৪টার দিকে তাকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। মাথার আঘাত গুরুতর।

“একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, আরেক হাতের আঙুল ভেঙে গেছে। এখানে ভর্তি করার সময় শিশুটির জ্ঞান ছিল না। পরে জ্ঞান ফিরেছে।”

ক্ষত স্থানগুলো ড্রেসিং করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২৪ ঘণ্টা পার না হলে কিছুই বলা যাবে না। এ সময় অতিবাহিত হলে শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হবে।”

সার্জারি বিভাগের ওয়ার্ড বয় মুক্তার হোসেন বলেন, শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ওষুধসহ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। শিশুটির সঙ্গে আসা মা মরিয়ম প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

বগুড়া শহরের ছিলিমপুর টাউন ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) আব্দুল আজিজ মন্ডল বলেন, বিকালে শিশুটিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

কয়েকদিন আগে দুই বাসের সংঘর্ষে ডান হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজধানীর তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন।

এরপর শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিসির দ্বিতল বাসের নিচে পড়ে ডান পা হারিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রোজিনা নামের এক তরুণী।

গত ১৬ এপ্রিল ঢাকার পলাশীতে কর্মরত অবস্থায় নীলক্ষেত থেকে উল্টোপথে আসা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি বাস থামানোর সময় ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বাম পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার পর এ্যাপোলো হাসপাতাল ঘুরে এখন তার রয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version