এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্কারোপের প্রভাবে ধস নেমেছে বিশ্ব শেয়ারবাজারে। বাণিজ্য যুদ্ধের অংশ হিসেবে শূকরের মাংস ও মদসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১২৮টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্কারোপ করে বেইজিং। ইতিমধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ব শেয়ারবাজারে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারও।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সোমবার ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজার এসঅ্যান্ডপির তালিকাভুক্ত ৫০০টি কোম্পানির শেয়ার গড়ে ২.২ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এ ছাড়া ডো জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজের তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানির শেয়ার গড়ে কমে গেছে ১.৯ শতাংশ। প্রযুক্তিভিত্তিক শেয়ারবাজার নাসদাক কম্পোজিট ইনডেক্সের শেয়ার কমে গেছে ২.৭৪ শতাংশ পর্যন্ত। বড় ধরনের পতন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের শেয়ার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের।

শুল্কারোপের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন খাদ্য রফতানি কোম্পানিগুলো। বাজারে ৪.৬ শতাংশ শেয়ার কমেছে মাংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টাইসন ফুডসের। এশিয়ায় মঙ্গলবার দিনের শুরুতে জাপানের কোম্পানি নিকির লেনদেন ১.৫ শতাংশ কমে গেছে। শেয়ারবাজারে ভয়াবহ এ পতনের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ তারাই প্রথমে এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস অভিযোগ করে বলেছে, ‘বিশ্ব শেয়ারবাজার বিশৃঙ্খল’ করছে চীন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়াল্টার বলেন, ‘স্টিল সংকটের মূল কারণ হল চীনের ভর্তুকি থেকে অর্থ আদায় ও ধারাবাহিক অতি-উৎপাদনশীলতা।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বচ্ছ রফতানি বাণিজ্যকে লক্ষ্য না বানিয়ে চীনের উচিত তাদের অন্যায্য ব্যবসায় চর্চা বন্ধ করা, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি ও বিশ্ববাজারকে বিশৃঙ্খল করছে।’ গত মাসের প্রথমদিকে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্কের হার বাড়ানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহেই চীনের ৬ হাজার কোটি ডলার আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে বেইজিং ১২৮টি মার্কিন পণ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version