নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিকিমের মতো বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায় বলে মন্তব্য করেন ফাইট ফর রাইটে’র সমাবেশে বক্তারা।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার সুরক্ষার দাবিতে লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরে গত সোমবার, ৪ মার্চ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (এফআরআই)। ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এর সভাপতি মোঃ রায়হান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বুরহান উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, প্রধান বক্তা ছিলেন আমারদেশ ইউকের নির্বাহী সম্পাদক ওলিউল্লাহ নোমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ মোঃ মঈনুল ইসলাম, এফআরআই এর সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাজহারুল হাসান রাকিব,সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন মৃধা ও নিউজ লাইফ টোয়েনটিফোর এডিটর মোঃ অহিদুজ্জামান।
রাজনৈতিক ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থেকে বক্তব্য রাখেন জাস্টিজ ফর ভিক্টিমস ইউকের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক ও ইআরআইয়ের মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমদ রনি, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক ও ইআরআইয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ হানিফ রাব্বানী মিলাদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক ও ই আর আইয়ের প্রচার সম্পাদক শাহিন আহমদ, যুবদল নেতা মোঃ লিটন আলী মোল্লা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এর সহ সভাপতি করিম মিয়া, আলী আহমদ, মির্জা আবুল আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম সফর, সিরাজুম মনির, শেরওয়ান আলী, মারুফ আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফান্টু, আইন বিষয়ক সম্পাদিকা এডভোকেট রোকশানা আক্তার, সহকারি অফিস সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, সহকারি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ লিয়াকত আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহকারি ট্রেণিং বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন, সহকারি আইটি বিষয়ক সম্পাদক এম এম ইয়াজদিন, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ জুলহাস আহমদ সজিব, সহকারি সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সম্পাদক রুমেল মিয়া, অনলাইন বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ মিয়া সুজা, নির্বাহি সম্পাদক পীরজাদী তাছনীয়া হোসাইন তমা, সায়েক আহমদ, জাকারিয়া হোসাইন, মোঃ তোফায়েল ও তজমুল আলী।
প্রধান অতিথি এম এ মালিক তার বক্তব্যে বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে না পারলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সিকিমের মতো ভারতের হাতে তুলে দিবে। তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা নিজ সন্তানের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।দেশের জনগণ একদিন তার বিচার করবেন। এম এ মালিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার দেশ ডেমোক্রেটিক দেশ সুতরাং আপনি ডেমোক্রেসির পক্ষ অবলম্বন করবেন।আপনি ভারতের পক্ষ অবলম্বন করবেন না।ভারত নিজ দেশে গণতন্ত্র প্র্যাকটিস করলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।তাই ঋষি সুনাককে বলবো আপনি মোদিকে বয়কট করুন।
প্রধান বক্তা ওলিউল্লাহ নোমান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই, আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করতে হবে।এই স্বাধীনতা হবে মানবতার, দেশপ্রেমের এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের।সভাপতির বক্তব্যে রায়হান উদিন বলেন, আমরা কোন দলের না।আমরা মানবাধিকারের পক্ষে। দেশকে ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্ত করার পক্ষে।যতদিন স্বৈরাচার সরকার পদত্যাগ না করবে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ্।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্হিত ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, মো গায়েছ আহমেদ, মাহমুদুল হাসান ফাহিম,মো সাইফুল ইসলাম, পল্লব দাস, আব্দুল আলী, রাসেল আহমেদ,রুমান আহমেদ, মো কামাল হোসেন, আবু সাইদ উমর,সাইফুল ইসলাম, শাহ মো রুমন মিয়া, শিমুল ইসলাম, প্রতিম ঘোষ, জুলফু আহমেদ, যোবায়ের আহমেদ,আশরাফুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান, ছাদিকুর রহমান, আবু হাসান রহিম প্রমুখ।