এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, নিজ ভূমিতে ইসরাইলিদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে। মার্কিন ম্যাগাজিন ‘দ্য আটলান্টিক’-এ সোমবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সৌদি আরবের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির এ বক্তব্যকে রিয়াদ ও তেল আবিবের ঘনিষ্ঠতা যে বাড়ছে, তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত বলা হচ্ছে। এ সময় আটলান্টিকের এক প্রশ্নের জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নিজেদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বসবাসের সুযোগ ইহুদিদের আছে বলে তিনি মনে করেন কিনা? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নিজেদের ভূমির ওপর ফিলিস্তিনি এবং ইসরাইলিদের পূর্ণ অধিকার আছে। কিন্তু, আমাদের এখন একটি শান্তিচুক্তি দরকার, যাতে সব পক্ষই স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।’ ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল ও প্রধান তীর্থভূমি সৌদি আরব ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। কিন্তু, গত মাসের শেষ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার পর থেকে সুর পাল্টে গেছে সৌদির। গত বছরের নভেম্বরে ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী জুভাল স্টেইনিতজ রিয়াদ-তেল আবিব গোপন যোগাযোগের কথা স্বীকারও করেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতির একটি বহুল প্রচলিত সূত্র হল- শত্রুর শত্রু বন্ধু। ইসরাইল প্রসঙ্গে হঠাৎ সৌদি আরবের অবস্থান পরিবর্তনকে সেই চোখেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে তাকে কখনোই সৌদি আরব স্বীকৃতি না দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশের মধ্যে কিছুটা গোপনেই সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে। এ কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, দু’পক্ষই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে তাদের বিশাল হুমকি বলে মনে করছে। ফলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও শক্তি মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এমনকি গত নভেম্বরে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানকে মোকাবেলায় তার দেশ প্রয়োজনে সৌদি আরবের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্যেও প্রস্তুত রয়েছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version