রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সোচি শহরে এক বৈঠকে উত্তর সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ১০ ধারার একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন। রাশিয়ার অবকাশযাপন কেন্দ্র সোচিতে দুই নেতা মঙ্গলবার টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন।

সমঝোতায় পুতিন ও এরদোগান সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সেইসঙ্গে তারা বলেছেন, সিরিয়ায় যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। সমঝোতা অনুযায়ী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় মানবিজ ও তাল-রাফয়াত শহর থেকে কুর্দি গেরিলারা সরে যাবে।

এতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ২৩ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে রাশিয়ার মিলিটারি পুলিশ ও সিরিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী উত্তর সিরিয়ার সেসব এলাকায় প্রবেশ করবে যেসব এলাকায় তুর্কি সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে না। কুর্দি গেরিলারা যাতে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যেতে পারে সে বিষয়টি তদারকি করা হবে এ পদক্ষেপের লক্ষ্য। এই প্রক্রিয়া ১৫০ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

এ ছাড়া, আস্তানা আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সংকট সমাধানের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতেও দুই নেতা সম্মত হয়েছেন।

সিরিয়ায় শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে এক লাখা ৮০ হাজার মানুষ
ইরানের উদ্যোগে এবং রাশিয়া ও তুরস্কের সহযোগিতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সিরিয়া বিষয়ক শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল।
তুরস্কের সেনাবাহিনী গত ৯ অক্টোবর থেকে ‘সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ’ ও ‘তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত থেকে কুর্দি গেরিলাদের মূলোৎপাটনের’ কথা বলে সিরিয়া সীমান্তে হামলা চালায়। অবশ্য ১৭ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্কের এরদোগান সরকার। যুদ্ধবিরতির ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তুর্কি ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ সমঝোতা হলো।

উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ওয়াশিংটনের সবুজ সংকেত নিয়ে তুরস্ক সিরিয়ায় হামলা চালায়।
সূত্র : পার্স টুডে

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version