চট্রগ্রাম প্রতিনিধি
নির্বাচনী প্রচারনা ও নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদের কারনে চট্রগ্রাম ৯ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে মহাজোট প্রার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় জামায়াত ও বিএনপির অন্তত ১১ জন নেতা কর্মী আহত হয়। মারাতœক আহত অবস্থায় ১৬ নং ওয়ার্ডের চকবাজারে কর্মরত শিবির নেতা মাহমুদ হোসাইনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত রোববার চট্রগ্রাম- ৯ আসনের মহাজোট প্রার্থী ড. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে বিএনপি ও জামায়াত – শিবিরের কর্মীরা প্রচারনা চালাচ্ছিল। সেখানে বিভিন্ন কেন্দ্র আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রশাসনকে ব্যবহার করে দখল করে নেয়। তারা দখলকৃত কেন্দ্রগুলোতে মহাজোট প্রার্থীর কর্মীদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়। অনেক ভোটাররা ভোট দিতে গেলে তারা জানিয়ে দেয়, তাদের ভোট হয়ে গেছে। এসব অনিয়ম নিয়ে মহাজোটের প্রার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাদানুবাদ হয়। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এক কর্মী বিএনপি নেতা কামরুলকে চড় মারে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মহাজোটের কর্মীরা। তারা মহাজোটের নেতা কামরুলকে আহতের প্রতিবাদে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৩৩ নং ওয়ার্ডে ৪ জন , ২১ নং ওয়ার্ডে ৪ জন এবং ১৬ নং ওয়ার্ডে ৩ জন আহত হয়। ৩৩ নং ওয়ার্ডে একজন ভোটার ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানায়, তার ভোট হয়ে গেছে। মহাজোটের প্রার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা করে। ২১ নং ওয়ার্ডেও একই কারনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১৬ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা এবং অন্য ভোটারের ভোট আওয়ামী কর্মীরা দিতে গেলে মহাজোটের নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ করে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নওফেলের ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। সেখােেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা মাহমুদ হোসাইনকে কেন্দ্রের বাইরে একা পেয়ে ২০-২৫ জন তাকে টেনে হিচরে রাস্তায় নিয়ে আসে। আওয়ামী ক্যাডাররা তাকে বেধড়ক পেটালে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।

মাহমুদকে আহতের খবর পেয়ে তার সহকর্মী নূর মোশাররফ ও আবু ইফকারসহ শিবির নেতা কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে পাঁচলাইশ ইবনে সিনা হসপিটালে ভর্তি করে ।

Share.

Leave A Reply

Exit mobile version