এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : টেবিলে চকচক করছে সোনালি ট্রফি। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের হাসিমাখা মুখ। তহুরা, শামসুন্নাহারও আনন্দে উদ্বেল। একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সবার প্রবেশ। হংকং জয় করে আসা মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলটিকে কাল সংবর্ধনা দিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। জকি ক্লাব আন্তর্জাতিক মেয়েদের আমন্ত্রণমূলক ফুটবলের শিরোপা জিতে সোমবার গভীর রাতে ঢাকায় ফিরেছে মারিয়া মান্দারা।

মেয়েদের সাফল্যে হাসি সালাউদ্দিনের মুখে। হংকং থেকে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে যাওয়ার সুযোগের অপেক্ষা। মারিয়াদের সাফল্যে ভীষণ খুশি সালাউদ্দিন বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হয়ে গোটা জাতিকে আরেকটি ট্রফি উপহার দিয়েছ তোমরা। অভিনন্দন তোমাদের। তোমরা অনেক পরিশ্রম করেছ। ভালো লাগছে। খুব খুশি হয়েছি। যে শহরে তোমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছ, সেখানে আমি খেলোয়াড়ি জীবনে লিগ খেলেছি। আমার মেয়ের জন্ম হয়েছে সেখানে।’ সালাহউদ্দিন মনে করিয়ে দেন, ‘একটা কথা মনে রাখবে, উপরে ওঠা সহজ। অবস্থান ধরে রাখা কঠিন। এটা তোমাদের ধরে রাখতে অনেক কষ্ট করতে হবে। তোমাদের একজন অনেক গোল করেছ, আরেকজন সেরা খেলোয়াড় হয়েছে। তাতে তোমাদের ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।’ সালাউদ্দিন যোগ করেন, ‘এখনও খুব ভালো অবস্থানে যাওনি তোমরা। এটা তেমন কিছুই না। তোমাদের লক্ষ্য থাকতে হবে আরও উপরে। পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে হলে আরও ছয়-সাতগুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে তোমাদের। গোটা দুনিয়ার দরজা খোলা তোমাদের জন্য। বড় সুযোগ সামনে হাতছানি দিচ্ছে। ভারতে সাবিনা গোল পাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। তোমরা কোরিয়া-জাপানে খেলার কথা ভাববে। সেভাবে নিজেদের তৈরি করতে পারলে কোটি টাকা তোমাদের পেছনে ঘুরবে। সেজন্য আমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেব। এই সাফল্য তোমাদের ধরে রাখতে হবে।’ বাফুফে সভাপতির হাতে ট্রফি তুলে দেয় অধিনায়ক মারিয়া মান্দা।

২ মে শুরু হবে এএফসি ফুটসাল। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এই আসরে ১৬টি দেশ অংশ নেবে। বাংলাদেশের গ্রুপে ভিয়েতনাম, চাইনিজ তাইপে ও মালয়েশিয়া রয়েছে। এ বছর আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক আসর বসবে। সাফের একাধিক আসর ছাড়াও রয়েছে এএফসির টুর্নামেন্ট।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version