টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ছুড়ে দেয় ১২০ রানের লক্ষ্য। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এই প্রথমবার নিজেদের ক্রিকেটে ইতিহাসে কোন দলকে তিন ফরম্যাটেই হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড গড়লো টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার গড়ে তোলেন ৭৭ রানের জুটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের বিশ্রামের কারণে জায়গা পাওয়া তরুণ নাঈম শেখ ৩৩ রানে আউট হলে এই জুটি ভাঙ্গে। তবে লিটন দাস ক্যারিয়ারে ২৯ তম ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৬০ রান করে।
ম্যাচসেরাও হন তিনি। নিজের ইনিংস সাজান ৮ চারের মারে। তাকে সঙ্গ দিতে এসে নিজের ৫০ তম ওয়ানডেতে সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২০ রান করে। ইনিংসে দুটি ছয়ের মার হাঁকান তিনি। ২৫ বল বাকি থাকতে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় বার ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। এর আগে ২০১৪ তে এই মিরপুর শেরেবাংলা মাঠেই আফগানদের একই ব্যবধানে হারিয়েছিল টাইগাররা।
প্রথমবারের মতো কোনো দলের বিপক্ষে এক দফায় তিন ফরম্যাটেই জয়ের রেকর্ড দিয়ে শেষ হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। এর আগে এক দলের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটে জয়ের সবশেষ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে এসেছিল ২০১৮ তে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকেটেস্টে হোয়াইটওয়াশ করার পর ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানরা জিতে গিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। সেবার হয়নি। এরপর ২০১৪ তে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ তে টেস্টে হারানোর পর ওয়ানডেতে ৫-০ তে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সেবার ছিলনা দলটির বিপক্ষে কোন টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে বিশ্রাম দেয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রথম ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েন পেসার শফিউল ইসলাম ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অভিষেক হয় তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানো পর প্রতিরোধ গড়েছিল। কিন্তু ৬৯ রানের সময় দ্বিতীয় উইকেট হারালে আর ঘুড়ে দাড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১১৯ রান তুলে থামে ৭ উইকেট হারিয়ে। মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন তুলে নেন ২ টি করে উইকেট। অভিষিক্ত পেসার হাসান ৪ ওভারে ২৫ রান দিলেও কোন উইকেট নিতে পারেনি।