স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান। হামলায় তার দু’হাত কেটে যায়। মেহেদী হাসানের পরিবার ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভায় যোগ দিতে যায় মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় আসার পথে আওয়ামী ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা মাহমুদুল হাসান কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক মেহেদী হাসান এবং তার বন্ধুদের উপর হামলা করে। মেহেদী হাসানের বন্ধু মোঃ শামিম, দীপংকর কর্মকার, মানস চক্রবর্তী সেসময় তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের উপরও হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির ওই সমাবেশ থেকে তারা বাড়ি ফিরছিলো। পথে তালতলা এলাকায় তারা অতর্কিত হামলা করলে মেহেদী হাসান ও তার বন্ধুরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা মেহেদী হাসানকে আটকে ফেলে। সন্ত্রাসীরা মেহেদী হাসানকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করলে সে বাঁচার জন্য হাত দিয়ে প্রতিহতের চেষ্টা করে। ক্ষুরের আঘাতে মেহেদী হাসানের দুই হাত কেটে প্রচুর রক্ত পরতে থাকে। পরে মেহেদীর বন্ধুরা লাঠি নিয়ে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মেহেদীকে পাশের মনোয়ার ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেয় তার বন্ধুরা।
জানা যায়, টাঙ্গাইল সদরের শিমুল তলী রোডের বটতলা এলাকায় এডভোকেট মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান এবং রওশানারা হোসেন খান এর একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত আছে। মাহমুদুল হাসান কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক থাকার কারনে এলাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। তারা তাকে প্রায় পরোক্ষভাবে হুমকি দিতো।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version