স্টাফ রিপোর্টারঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী । সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার পল্লবী থানা জামায়াত বিক্ষোভ করে গতকাল সোমবার । বিক্ষোভ চলাকালে পল্লবী থানার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ রাশেদ খানসহ ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে থাকা জামায়াত নেতা কর্মীদের আটক করে পুলিশ।
বিক্ষোভের আগে সমাবেশে জামায়াত নেতারা বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। তাই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।
কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত চাল, ডাল, আটা, তেল, তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এক বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি পল্লবী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিরপুর ১০ এ গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ শুরুর আগে পল্লবী থানার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ রাশেদ খান, জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান, নিয়ামুল করিম, এ আর সরকার, জিল্লুর রহমান ও ছাত্রনেতা জামিল, কাজী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পুলিশ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।
সমাবেশ পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, চাল, ডাল, আটা, তেল, তরকারি, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসুনসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।  বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই ব্যস্ত রয়েছে। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। সরকার গণপ্রতিনিধিত্বশীল নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই অগণতান্ত্রিক সরকারের পরিবর্তে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারা বলেন, সরকার নিজেদের দুর্বলতা আড়াল করতে ও জনগনের সমস্যা সমাধান না করে বিনাকারনে বিরোধী নেতা কর্মীদের আটক করছে। জামায়াত ও শিবির নেতা কর্মীদের অতিশীঘ্র ছেড়ে দেয়ার আহবান জানান বক্তারা। অন্যথায় গণআন্দোলনের মাধ্যমে নেতা কর্মীদের জেল থেকে বের করে আনা হবে হুশিয়ারী দেন তারা।
Share.

Comments are closed.

Exit mobile version