বিশেষ প্রতিনিধি ঃ

সুইডেন যাওয়ার প্রাক্কালে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষ্যে বরাবরের মতো প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেয় যুক্তরাজ্য বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার আর অপমান সহ্য না করে পাল্টা জবাব দেয়ার পরিকল্পনা নেয় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা হাসিনাকে হেনস্থকারী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ছবি তুলে তা দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আর ওই নেতা-কর্মীদের আত্নীয়  -স্বজনদের অত্যাচার নির্যাতন করারও  পরিকল্পনা নেয় আওয়ামী লীগ। এছাড়া হাসিনাকে হেনস্থকারী বিরোধী দলের কর্মীরা দেশে গেলে তাদের গুম বা হত্যারও পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগের বিশেষ ক্যাডার বাহিনী।
সুইডেন যাওয়ার আগে ১৩ জুন শেখ হাসিনা একদিনের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে। হিথরো বিমান বন্দরের টার্মিনাল-৪ দিয়ে বের হওয়ার সময় কালো পতাকা প্রদর্শন করে ও তাকে উদ্দেশ্য করে নানা শ্লোগান দেয় বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মীরা ‘কিলার হাসিনা – স্টেপ ডাউন হাসিনা’,‘হাসিনা দ্যা বুচার অব বাংলাদেশ ঃ ইউ আর নট ওয়েলকাম ইন ইউকে’ এসব শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে তারা – ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী , ফিরে যাও ফিরে যাও’ , ‘ অগনতান্ত্রিক ব্যক্তির গনতান্ত্রিক ব্রিটেনে জায়গা নেই ’, ‘গুম -খুনের হোতা , তুই হাসিনা তুই হাসিনা ’ প্রভৃতি শ্লোগান দেয়। বিকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ওই প্রতিবাদী বিক্ষোভ কর্মসূচী চলতে থাকে। এসময় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী আইন অমান্য করে টার্মিনালের ভেতরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীদের ছবি তুলতে থাকে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে  হাসিনার সাথে  আসা এসএসএফ‘র  সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছবি ও ভিডিও   বর্তমান সরকারের বিশেষ বাহিনীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের হিট লিস্ট করে দেশে গেলে তাদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়। ছবি তুলার বিষয়টি বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা ব্রিটিশ পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। পুলিশ তাদের কাছে যে ক্যামেরায় ছবি তুলা হয়েছে তা চাইলে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, যে ক্যামেরায় ছবি তুলা হয়েছে তা নিয়ে তাদের একজন চলে গেছে। এ বিষয়টি পুলিশ নথিভুক্ত করে।

বাংলাদেশে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম,হত্যা,এবং ক্রস ফায়ারের মাধ্যমে হত্যার প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আহবান করার জন্য যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ রহিম উদ্দিন, ইস্টলন্ডন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ( আবুল হোসাইন ) যুবদল নেতা শেখ ইফতেখার আহাদ, মোঃ মোখিমিন, লন্ডন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ শাহাদত হোসাইন, নাওশীন মোস্তারী মিঞা সাহেব, মোঃ মাকসুদুর রহমান মমিন, মোহাম্মদ মনসুর উদ্দীন, মো: খায়রুল আলম, নুরূস সাদিক , লন্ডন মহানগর বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিলাল মিয়া,  মোঃ কামরুল হাসান, যুক্তরাজ্যে সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জাহেদ রহমান চৌধুরী ওরফে মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, লন্ডন মহানগর বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শেখ তারিকুল ইসলাম,  আইনজীবী ফোরাম নেতা এডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহীল রাব্বি, মাদারীপুর শহর শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ মাহিন খান,  শামীম আল মামুন, মোঃ মোস্তফা কামাল, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা ও  ইস্ট লন্ডন বিএনপির নেতা  মোঃ আনিছুজ্জামান, মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মো. মাহফুজ আহমেদ, আব্দুল আজাদ,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আশিকুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রনেতা এম এ শামিম,জামাল মিয়া, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ জামিল চৌধুরী, লন্ডন মহানগর বিএনপি‘র কর্মী নাসির, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম ওমর পারভেজ , স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মোঃ জোবায়ের ইসলাম শিশির, লন্ডন মহানগর বিএনপি‘র সহ সভাপতি নাসির ও  গেয়াস উদ্দিন, নিউহ্যাম বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইশতেখার হোসেন, সাবেক শিবির নেতা মোঃ আব্দুল মুকিত রাজিব, শিবিরকর্মী মো: এমদাদুল হক, যুবদল নেতা মোহাম্মাদ সেলিম জাবেদ খন্দকার, আবদুর রহিম,স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আলমগীর শেখ, আব্দুল আলীম, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্বাস উল্লাহ,সাবেক ছাত্রনেতা শেখ কামরুজ্জামান, আল নাহিয়ান বিন মুরাদ,মোঃ তানজিল ইসলাম,মোঃ রিফাত মাহমুদ ভূঁইয়া,সালমান সাদী,যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী যুবদলের নিউহ্যাম শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আসাদ , যুবদল নেতা  মোঃ সাকোয়াত হোসেন, জাসাস নেতা শেখ পারভেজ চৌধুরী, মোঃ নাজমুল আহসান, বিএনপি নেতা সাইফ উল্লাহ, রাজু কর্মকার,সাইফুর রহমান,সাসেক্স বিএনপির ভাইস প্রেসিডেনট  মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মোঃ মাহবুবুল আলম, যুক্তরাজ্যে সেচ্ছাসেবক দলের মোঃ রাকিব হাসান, মো. আবু বকার সিদ্দিক,  মোহাম্মাদ সাদেকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, মোঃ আব্দুস সামাদ, মোহাম্মদ আব্দুল গনি, আনোয়ার পারভেজ তালুকদার, মোঃ শারিয়ার কবির ওরফে রাসেল শারিয়ার, জুল আফরোজ মজুমদার, এস এম ওমর পারভেজ, মোঃ মহিন উদ্দিন, লন্ডন মহানগর বিএনপি‘র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মারুফ আদনান চৌধুরী, মীর জুবায়ের আহাম্মেদ, পারভেজ আহমেদ রাকিব, মোঃ বেলাল হোসাইন পাশা, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, আহমেদ শাকিল,নিউহ্যাম বিএনপির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,মোঃ আরিফুর রহমান খান, মো: দেলোয়ার হোসেন,ফজলে রহমান পিনাক, মোঃ আবু নোমান, মোহাম্মেদ আরিফ হোসাইন,সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আরিফুর রহমান খান, এসেক্স বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সামসুল ইসলাম,রাজু আহমেদ, রুবেল আহমেদ, মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, সাবেক ছাত্রদল নেতা  মোঃ  আব্দুল্লা আল মামুন, মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন , শিবির নেতা কাজী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, রাসেল হোসাইন, মাছউদুল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ হান্নান, ওমর ফারুক, জাকির হোসেন, আব্দুল কাদের জিলানী, সাবেক শিবির নেতা সায়েম আহমেদ, আব্দুল আলী, মোঃ মাকসুদুর রহমান, শরীফ মোহাম্মদ করিম, সাইফুল ইসলাম, মোঃ রাসেল মাহমুদ, মোহাম্মদ শামীম পারভেজ জুয়েল, মারুফ হোসাইন, মোঃ মিলন, এ এ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোঃ কবির উদ্দিন, দেলোয়ার হোসাইন, মোঃ মুহিবুর রহমান মাখন, ইস্ট লন্ডন বিএনপি নেতা মনজুরুল ইসলাম,মোঃ নূরে আলম সোহেল, মোঃ হাসনাইন, আসিফ উল ইসলাম, কবি কাওসার, কমিউনিস্ট পার্টি নেতা মোঃ ইলিয়াস শাহ্ ,মানবাধিকার কর্মী ও জামাত নেতা মো্ঃ রোকতা হাসান,ছাত্রনেতা মোঃ মাকসুদুর রহমান, মোঃ সালাহ উদ্দিন, মোঃ রাইদুল আলম রিয়াদ এর নেতৃত্বে টার্মিনাল-৪ এ দায়িত্বরত ইউকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে কালো পতাকা প্রদর্শন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয় । এসময় তাদের সাথে প্রতিবাদী বিক্ষোভে অংশ নেন  যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান,বিএনপি নেতা মতিন,  সিনিয়র নেতা আবদুল কাদির নাজিম, ইস্ট লন্ডন বিএনপি নেতা মোঃ হাসনাইন, লাকি আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

পরের দিন ১৪জুন আবারো যুক্তরাজ্য বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা হাসিনার লন্ডন থেকে সুইডেন যাওয়ার সময় স্লাউয়ে স্টক পার্ক  হোটেলের সামনে কালো পতাকা প্রদর্শন ও প্রতিবাদী বিক্ষোভ পালন করে। তারা হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তা আকড়ে থাকার তীব্র সমালোচনা করে শ্লোগান দেয়। গণতান্ত্রিক দেশে অগণতান্ত্রিক অবৈধ শাসকের জায়গা নেই বলে শ্লোগান দেয় তারা।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version