অবশেষে উৎকণ্ঠার অবসান হল। ভূপৃষ্ঠে নয়, গভীর সুমদ্রে আছড়ে পড়ল চীনা মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং। বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রশান্ত মহাসাগরে ভেঙে পড়ে স্পেস স্টেশনটি। এদিন তিয়ানগং স্পেস স্টেশনটি ফের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েছিল। বায়ুমণ্ডলের প্রবল ঘর্ষণে কার্যত পুড়েই গিয়েছিল এটি। যেটুকু বাকি ছিল, সেটুকু আছড়ে পড়ল প্রশান্ত মহাসাগরে। স্পেস স্টেশনের স্যাটেলাইটেও ওই চীনা স্পেস সেন্টারটির গতিবিধি ধরা পড়েছিল।

এর আগে চীনা মহাকাশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মহাকাশ গবেষণাগারটি ব্রাজিলের সাওপাওলো এবং রিও ডি জেনিরো শহরের নিকটবর্তী উপকূলের কাছে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরের বায়ুমণ্ডল দিয়ে পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশ করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্যোতি-পদার্থবিদ ব্রাড জানান, তিয়ানগং-১ এর অবশিষ্টাংশ তাহিতি দ্বীপের প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পড়েছে বলে মনে হয়েছে। রয়টার্সকে তিনি জানান, তিয়ানগং-১ এর ৯০ শতাংশ বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং বাকি মাত্র ১০ শতাংশ নিচে পড়েছে। তবে এ খণ্ডাংশগুলোর ভরও প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি হবে।

লম্বায় ৩৪ ফুট। ওজন ৮০ টন। ২০১১ সালে মহাকাশে পাঠানো স্পেস স্টেশনটির সঙ্গে ২০১৬ সালে সংযোগ হারিয়ে ফেলে বেইজিং। এ স্পেস স্টেশনটিকে ব্যবহার করে মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহের কক্ষপথ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা ছিল চীনা মহাকাশ গবেষকদের। বস্তুত, ২০২৩ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্থায়ী স্পেস স্টেশন চালু করতে চায় চীন। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই ওই স্পেস স্টেশনটি চালু করা হয়েছিল।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version