এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : খালেদা জিয়া ‘নি-জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট’জনিত (হাঁটুর সংযোগ পুনঃস্থাপন) সমস্যায় ভুগছেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তার দুই হাঁটু এক্সরে করা হয়। তাতে এ সমস্যা ধরা পড়ে। এছাড়া খালেদা জিয়ার ‘চেস্ট’ (বুক) এক্সরে করা হয়। তবে ফুসফুস বা শ্বাসজনিত কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।

এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে নেয়া হয়। এর ফলে কারাগারে যাওয়ার ২ মাসের মাথায় তিনি বাইরের এলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, শনিবার সকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। এখানে বিশ্রামের জন্য তাকে কেবিন ব্লকের ৫১২নং কক্ষে রাখা হয়। সেখানে তিনি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম নেন। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এএফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুর রহমান, ডা. মামুনের সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে পরামর্শ করেন। এ সময় কারা চিকিৎসক ডা. মাহমুদ হাসান শুভ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রদত্ত এক্সরে করাতে সম্মত হন। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রেজিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে তার পায়ের বিভিন্ন অংশ এক্সরে করানো হয়। এছাড়া চেস্ট এক্সরে করা হয়। এক্সরে করানোর সময় তার ব্যক্তিগত তিন চিকিৎসককে ওই কক্ষে রাখা হয়। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র সন্ধ্যায় জানায়, ইতিমধ্যে এক্সরে রিপোর্ট ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. এনায়েত করিম দেখেছেন। খালেদা জিয়ার চেস্টের এক্সরে রিপোর্ট ভালো। সেখানে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে তার দুই পায়ের নি-জয়েণ্ট রিপ্লেসমেন্টজনিত সমস্যা রয়েছে। আজ সকালে রিপোর্ট চূড়ান্ত করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, আপাতদৃষ্টিতে ভালো আছেন তিনি (খালেদা জিয়া)। তিনি বলেন, রোববার হাসপাতাল থেকে আমরা মেডিকেল প্রতিবেদন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গঠন করা মেডিকেল বোর্ডকে সেগুলো দেবে। বোর্ডই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। এর আগে ১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ড কারাগারে গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিএসএমএমইউতে এনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হল। শনিবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে দেখা করেন দুই কন্যাসহ কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। এ সময় চেয়ারপারসন তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ সিনিয়র কয়েক নেতাও হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করেন। তবে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাননি। বিএসএমএমইউতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান করেন তিনি। এরপর বেলা ১টা ৩২ মিনিটে তাকে বহনকারী গাড়িটি হাসপাতালের কেবিন ব্লকের সামনে থেকে বের হয়ে কারাগারের দিকে রওনা হয়। বেলা পৌনে ২টায় তিনি কারাগারে পৌঁছান বলে জানা গেছে।

এদিন সকালে একটি অফহোয়াইট জমিনে কালো কাজের জামদানি শাড়ি পরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে আনা হয়। বিএনপি দাবি করেছে, খালেদা জিয়াকে জোর করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাকে বাইরে বেরোনোর প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়নি। এমন পোশাকে বিএনপি চেয়ারপারসন কখনও বাইরে বের হন না। সাধারণত বাইরে বের হলে খালেদা জিয়ার শাড়ির ওপর একটি চাদর থাকে, যা তাকে পরতে দেয়া হয়নি।

আগের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। বিএনপিকে আগে জানানো হয়নি। তবে শনিবার সকালে বিশেষ সূত্রে জানতে পারেন দলের নেতারা। যেহেতু চিকিৎসার ব্যাপারে খালেদা জিয়ার পছন্দ ছিল রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল। সে কারণে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভর নেতৃত্বে টিম ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রস্তুত ছিল বলে জানা গেছে।

খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হচ্ছে- সকাল থেকে এমন খবর পেয়ে শত শত নেতাকর্মী বকশিবাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগসহ আশপাশ এলাকা ও হাসপাতালে জড়ো হন। তবে কড়া নিরাপত্তার কারণে কেউ কাছে ঘেঁষতে পারেননি। অবশ্য খালেদা জিয়ার গাড়িবহর শাহবাগে পৌঁছলে পুলিশি তৎপরতার মধ্যেই একটি মিছিল তাতে (বহরে) মিশে যায়। গাড়িবহর হাসপাতালের কেবিন ব্লকের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লে নেতাকর্মীরা আর সেখানে যেতে পারেননি। তখন গেটের বাইরে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শাহবাগ ও কাঁটাবন এলাকায় মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ মারমুখী ছিল পুলিশ। সেখান থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় শাহবাগ থানায় আটককৃতদের রাখা হয়েছে।

নাজিমুদ্দীন রোডের সাব-জেল থেকে পুলিশের একটি কালো রঙের গাড়িতে (নম্বর ইএন-৫০৪০) করে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়। পথে তার গাড়ির সামনে পেছনে ছিল র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি। এছাড়া গোটা পথে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি ছিল নজরে পড়ার মতো। শাহবাগ মোড় থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পর্যন্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। এমনকি শাহবাগের দুটি ওভারব্রিজের নিরাপত্তাও পুলিশ গ্রহণ করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া ভেতরের প্রত্যেক ব্লকের সংযোগ সড়কের উভয়প্রান্তে পুলিশি প্রহরা বসানো হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র‌্যাব ও সাদা পোশাকের পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীদের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। কেবিন ব্লকের ওপরে বৃহৎ ওটি কমপ্লেক্স এবং আইসিইউ ইউনিটের রোগীদের স্বজনরা প্রবশে করতে না পারায় ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ সময় পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে অনেক স্বজনকে রক্ত, ওষুধ, রিপোর্ট, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছার পর খালেদা জিয়া নিজেই গাড়ি থেকে নামেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিশ্রামের জন্য হাসপাতালের ৫১২ নম্বর কেবিন আগে থেকেই ঠিকঠাক করে রেখেছিলেন। সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুইলচেয়ার অপেক্ষমাণ রেখেছিল। তবে ৭৩ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ওই কেবিনে যাওয়ার জন্য হেঁটেই লিফটে ওঠেন। বিশ্রাম শেষে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়।

বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কতটা সুস্থ বা অসুস্থ সেটা বলা যাবে না। সেই সিদ্ধান্ত দেবে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তবে তার জন্য আমরা একটি হুইলচেয়ার রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজে থেকেই বলেছেন হুইলচেয়ারের প্রয়োজন নেই, তিনি হেঁটেই যেতে পারবেন। তিনি হেঁটে কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কক্ষ থেকে এক্স-রে করাতে পার্শ্ববর্তী রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে যান। এক্স-রে শেষে সেখান থেকে হেঁটেই তিনি গাড়িতে ওঠেন। গাড়িতে ওঠার আগে হাসপাতালের ভেতরে বিশেষ করে কেবিন ব্লক ও এর আশপাশে অবস্থানরত রোগী ও তাদের স্বজনরা হাত নেড়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। খালেদা জিয়াও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।

বিএসএমএমইউর এক অধ্যাপক ও এক সহযোগী অধ্যাপক বলেন, বিএসএমএমইউর অনেক চিকিৎসক খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তারাও ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলেনি। এ সময় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা রয়েছে। সে জন্যই এক্স-রে করা হয়েছে। এ রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাবে আর্থ্রাইটিসের বর্তমান অবস্থা।

এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বাতজনিত সমস্যাই হল আর্থ্রাইটিস। তবে আর্থ্রাইটিস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এ রোগের ফলে হাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এক্স-রে করে এ সমস্যা চিহ্নিত করা যায়। তবে ক্ষেত্রবিশেষ এমআরআই করার প্রয়োজন হতে পারে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়া হাসপাতাল ত্যাগ করার পর সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। এ প্রসঙ্গে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বৈঠকে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের চেয়ারম্যান এবং এক্স-রেকারী চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন। এ ছাড়া এ রিপোর্ট কখন কীভাবে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হবে সে বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।

হাসপাতালে কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে : হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান। সেখানে তারা অল্প সময়ের জন্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান।

জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন হাসপাতালে পৌঁছানোর আধা ঘণ্টা পর দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন শর্মিলা। তারা গাড়ি থেকে নেমে কেবিন ব্লকে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গাড়ির ভেতরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তারা। তখন তাদের ঘিরে জটলা করে ছিলেন উপস্থিত জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। সেখানে স্লোগান দেয়ার সময় চার-পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে ঢোকেন কোকোর স্ত্রী-সন্তানরা। সেখান থেকে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সামনে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তারা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ‘বিএসএমএমইউ রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সামনে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান পুত্রবধূ ও দুই নাতনি। তারা খালেদা জিয়ার কুশল জিজ্ঞেস করেছেন। এ সময় খালেদা জিয়া তার দুই নাতনি ও পুত্রবধূর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেন।’

হাসপাতালে সিনিয়র নেতারা : স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনার খবরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ডা. আবদুল কুদ্দুস, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, ড্যাবের সভাপতি ডা. এমএ আজিজ প্রমুখ। এ ছাড়া হাসপাতালের বাইরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version