এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ব্রাজিলে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডি সিলভা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিন আগেই তিনি আদালতের রায়ের বিরোধিতা করেছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তিনি তার স্টিলকর্মীদের ভবনে আশ্রয় নেন। সেখানেই এক সমাবেশে বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তিনি।

শনিবার দলের কার্যালয়ের সামনে সমর্থদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি আদেশ মেনে নিবো। আর আপনারা সবাই লুলা হয়ে উঠবেন। আমি আইনের উর্ধ্বে না। আমি যদি আইন বিশ্বাস না করতাম তবে রাজনীতি শুরু করতাম না। বিপ্লব করতাম।’

২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লুলা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাসকে কাজ পাইয়ে দেয়ার শর্তে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অর্থ তিনি সমুদ্র তীরে তার একটি অ্যাপার্টমেন্টের সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজে ব্যয় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। লুলার দাবি, এ অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে এমন রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। জনমত জরিপগুলো অনুযায়ী নির্বাচনি দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন লুলা। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করা পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার না করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ব্রাজিরের এ সাবেক প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিমকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

শনিবার ৭২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বের হওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দলীয় কর্মীরা পুলিশের গাড়িরোধ করলে লুলা জানান, তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানা মেনে নিয়েছেন। তবে তিনি নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version