এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ‘ওই মিয়া, আমাগো অ্যাথলেট কিন্তু কেউ পলাইবো না। তোমাগো সাংবাদিকগোর খবর কি?’- টিপ্পনী কেটে ঢাকাইয়া ভাষায় জিজ্ঞেস করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এক কর্মকর্তা। খোঁচাটা একটু বেশি হয়ে গেল। ২০০৬ সালে অ্যাথলেট তৌহদুলের পলায়নের পর গত তিন আসরে বিওএ একটি বিরল রেকর্ড গড়েছে। দিল্লি, গ্ল­াসগো কিংবা গোল্ডকোস্টে কোনো অ্যাথলেট পলায়ন করেননি। শুটাররা ছাড়া অন্য অ্যাথলেটরা পদক না পেলেও দেশে ফিরে যাচ্ছেন, এটাই ইতিবাচক দিক। কিন্তু ক্রীড়া সাংবাদিকদের সবাই দেশে ফিরছেন কিনা ভিসার নির্ধারিত মেয়াদ শেষে, সেই নিশ্চয়তা নেই। এদিকে শনিবার পর্যন্ত কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজ থেকে উধাও হয়ে গেছেন দু’ডজন আফ্রিকান অ্যাথলেট। আগেরদিন ক্যামেরুন, সিয়েরালিওন, উগান্ডা ও রুয়ান্ডার ১৩ জনের পলায়নের পর শনিবার ভেগেছেন ক্যামেরুনের আরও আট অ্যাথলেট। ২০০৬ মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসের সময় ৪৫ জন ক্রীড়াবিদ পালিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ক্যামেরুনের নয়জন পরে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২০১৪ গ্লাসগো গেমস থেকে ভেগে যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ২১ জন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। এবিসি জানিয়েছে, সাউথপোর্টের এক ইমিগ্র্যান্ড আইনজীবীর কাছে ৪০ জন কমনওয়েলথ অ্যাথলেট অস্ট্রেলিয়ায় থাকার নিয়মকানুন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। অন্যদিকে অ্যাথলেট হারিয়ে যাওয়ায় সতর্ক আয়োজক কমিটি। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিদেশি ক্রীড়া দলের প্রতি। ভিলেজ থেকে সমাপনী অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া থেকে বিমানে তুলে না দেয়া পর্যন্ত অ্যাথলেটদের আর ছাড়া হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত।
বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত শেফ দ্য মিশন আশিকুর রহমান মিকু জানান, ‘বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট সোমবার সকাল ৯টায়। রোববার রাত ২টায় তাদের এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে।’ অন্যান্য দেশের জন্যও একই ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজক কমিটি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version