এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : রাশিয়া জানিয়েছে সিরিয়ায় যেখানে রাসায়নিক হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সে জায়গা পরিদর্শন করতে পারবে আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল। শনিবার থেকে অপেক্ষা করছিল তদন্তকারী দলটি কিন্তু তাদের দৌমায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে যে রুশ বিশেষজ্ঞরা সময় ক্ষেপণ করে এই ফাঁকে রাসায়নিক হামলার আলামত নষ্ট করতে পারে। সিরিয়া এবং রাশিয়া বলছে রাসায়নিক হামলার ঘটনা একটি সাজানো অভিযোগ। বুধবার পরিদর্শকরা রাসায়নিক হামলাস্থলে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দৌমায় ৭ এপ্রিল রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এবং পশ্চিমা বিশ্বের। কারা এ হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত না হলেও এর জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এ হামলায় বেসামরিকসহ বহু লোক নিহত হয়েছেন।
অর্গানাইজেশন অব দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপন্সের (ওপিসিডব্লিউ) তদন্তকারীরা রাজধানী দামেস্কে অবস্থান করে তদন্ত শুরু করার অপেক্ষায় আছেন। দৌমা শহরটি এখন সিরিয়া সরকার ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। রাশিয়ার কথা অনুযায়ী কথিত হামলার ১১ দিন পর বুধবার তদন্তকারীরা সেখানে যাবে। দৌমা পরিদর্শনে গিয়ে মাটি ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করবে তারা, যেগুলো হামলায় কোনো রাসায়নিক ব্যবহূত হয়ে থাকলে তা সনাক্তে সহায়তা করবে তাদের।
মঙ্গলবার ভোররাতে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হমসে হওয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধ করেছে সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স। হমসের শায়রাত বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি; তবে কারা এটি ছুড়েছে তা বলেনি। আরেক প্রতিবেদনে ইরানপন্থি হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী জানিয়েছে, দামেস্কের উত্তর-পূর্বের দৌমাইর সামরিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স। তবে ওই সময়ে সিরিয়ার উল্লিখিত এলাকাগুলোতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোনো তত্পরতা ছিল না বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
অর্গানাইজেশন অব দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপন্সের (ওপিসিডব্লিউ) তদন্তকারীরা গত শনিবার থেকে সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থান করে তদন্ত শুরু করার অপেক্ষায় আছেন। বুধবার যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কথিত হামলার ১১ দিন পর ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তারা। দৌমায় গিয়ে তারা মাটি ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করবেন। সেখানে হামলায় কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকলে এসব নমুনা পরীক্ষায় তা জানা যাবে।