এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : আধুনিক বিজ্ঞানের হিসাবে বিশ্বে ইন্টারনেটের চল শুরু হয় আশির দশকে। এ সময়েই ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু ষাটের দশক থেকেই মূলত কম্পিউটারগুলোর সংযুক্তিকরণের জন্য ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক নিয়ে চিন্তাভাবনা বা গবেষণা শুরু হয়েছিল।
কিন্তু ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের দাবি, ‘মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট ছিল।’ অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে যে সময়ে মহাভারত রচিত হয়েছিল সেই সময়েও ইন্টারনেট ছিল। বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এ খবর প্রকাশ করা হয়।
ভারতীয় জনতা পার্টি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা বিপ্লব দেবের মতে, মহাভারতে সঞ্জয় যেভাবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরে অবস্থান করেও ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন, তা থেকেই বোঝা যায় সেই যুগেও ইন্টারনেট ছিল, স্যাটেলাইট ছিল। না হলে চোখ দিয়ে তিনি অতদূর দেখতে পেতেন কী করে!
তার মতে, মাঝখানের সময়কালে অনেক কিছুই বদলে গেছে। বিদেশিরা দাবি করছে, যে ইন্টারনেট বা স্যাটেলাইট তাদের আবিষ্কার।’ তার বিশ্বাসের সত্যতা প্রমাণে নিজের বক্তব্য আরও একবার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘মহাভারতে সঞ্জয় যেভাবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরে অবস্থান করেও ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন তা থেকেই বোঝা যায় সেই যুগেও ইন্টারনেট ছিল, স্যাটেলাইট ছিল। না হলে চোখ দিয়ে তিনি অতদূর দেখতে পেতেন কী করে!’
বিপ্লব কুমার বলেন, ‘এটা সেই দেশ, যেখানে লাখো বছর আগে থেকেই বিজ্ঞান আর প্রকৌশল রয়েছে,’ আগরতলা শহরে একটি কর্মশালার উদ্বোধন করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
‘মহাভারত’ আদতে একটি মহাকাব্য বা এপিক। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে দ্বিতীয় শতক পর্যন্ত সমাজের বর্ণনা পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু সেখানে বর্ণিত প্রতিটি বাক্যই যে বৈজ্ঞানিক সত্য, তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
ইন্টারনেট আবিষ্কার নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এ ‘নতুন তথ্য’ নিয়ে কলকাতার বিজ্ঞান লেখক ও প্রবীণ সাংবাদিক পথিক গুহ বলেন, ‘এগুলো নিয়ে মন্তব্য করা মানেই বেশি গুরুত্ব দেয়া।’