এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ফিদেল-রাউলের কিউবার দায়িত্ব নিচ্ছেন মিগুয়েল ডিয়াজ কানেল। প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রোর প্রধান সহযোগী ডিয়াজ কানেলকে বৃহস্পতিবার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট মনোনীত করে দেশটির পার্লামেন্ট। এর মধ্য দিয়ে ছয় দশক পর শাসক বদল হলো কিউবায়। এই প্রথমবারের মতো ক্যাস্ত্রো পরিবারের বাইরের কেউ প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন কিউবায়। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে শেষ হতে যাচ্ছে ক্যাস্ত্রো পরিবারের ছয় দশকের শাসন। এক সফল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সাবেক স্বৈরশাসক ফুলগেনসিও বাতিস্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৯ সালে ক্ষমতায় আসেন মহান বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো। প্রায় ৪৭ বছরের শাসন শেষে ২০০৬ সালে ছোট ভাই রাউল ক্যাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা অর্পণ করেন অসুস্থ ফিদেল। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট মনোনীত হয়ে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল পদত্যাগের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ৮৬ বছর বয়সী রাউল। এএফপি জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের ১০ বছর পর রাষ্ট্রের দায়িত্বভার সহযোগী ডিয়াজ কানেলের কাঁধে তুলে দিলেন। এর ফলে কিউবাও প্রথমবারের মতো দেখতে যাচ্ছে ক্যাস্ত্রো পরিবারের বাইরে কোনো প্রেসিডেন্ট। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কিউবার রাজনীতিতে এখনও বড় ধরনের প্রভাব থাকবে রাউলের। দায়িত্ব গ্রহণের আগে ৫৭ বছর বয়সী সোনালী চুলের ডিয়াজ কানেল ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাউলের উত্তরসূরি নির্বাচনে বুধবার দুই দিনব্যাপী এক ঐতিহাসিক অধিবেশন শুরু করে কিউবার পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার কিউবার পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফল বা নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করে। ২০২১ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের দায়িত্বও পালন করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় ক্যারিবীয় অঞ্চলের সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবায় বেশ জনপ্রিয় ডিয়াজ কানেল। উচ্চতা ও সোনালী চুলের জন্য ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রের অনেকেই তাকে ‘কিউবার রিচার্ড গিয়ার’ মনে করে। ২০ বছর আগে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির যুব সংগঠনের মাধ্যমে রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে কিউবার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডিয়াজ কানেল।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version