এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের নামের তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টাইম ১০০’ তালিকায় রাজনীতিকদের মধ্যে আরও রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, জাপানের প্রেসিডেন্ট শিনজো অ্যাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান, ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি ও তার বাগদত্তা অভিনেত্রী মেগান মের্কেল।

অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন- নিকোল কিডম্যান, ভারতের দীপিকা পাডুকোন, জেনিফার লোপেজ ও মার্কিন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে। খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন- ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, টেনিস তারকা রজার ফেদেরার। এছাড়া রয়েছেন- অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, রকেট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেন মাস্ক।

চলতি বছর নিয়ে টাইম ১৫ বারের মতো বিশ্বের একশ’ প্রভাবশালীর তালিকা তৈরি করল। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কার্যকলাপ, উদ্ভাবন ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘টাইম’ প্রতি বছর ১০০ জনকে সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে বেছে নেয়। এ তালিকার ব্যাপারে টাইমের সম্পাদক বলেছেন, এই ১০০ জন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী ও পুরুষ। তবে তারা সবচেয়ে ক্ষমতাবান নন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ক্ষমতা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট কিন্তু প্রভাব অত্যন্ত সূক্ষ্ম।

টাইমের তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রোফাইল লিখেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি লিখেছেন, শেখ হাসিনার বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন; উত্তরাধিকারী হিসেবে শেখ হাসিনা লড়াই করতে কখনও ভয় পাননি। গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে; তখন তিনি এই রোহিঙ্গা ঢলকে মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। মীনাক্ষী আরও লিখেছেন, অতীতে কখনোই রোহিঙ্গাদের ব্যাপক স্রোত বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু তিনি জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখ ফিরিয়ে নেননি। এজন্য শেখ হাসিনা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version