এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেশটি তাদের মিত্র ও অংশীদারদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র। বিশ্বজুড়ে মার্কিন সমরাস্ত্র ছড়িয়ে দেয়ার এ পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্ত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সরাসরি অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবও দিচ্ছেন ট্রাম্প।

বিশ্বের অস্ত্র বাজারে অন্য দেশের তুলনায় মার্কিন অস্ত্রের এমনিতেই প্রাধান্য রয়েছে। ট্রাম্প চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র ব্যাপক মাত্রায় এর মিত্র ও অংশীদার দেশগুলোর কাছে যেন সহজেই পৌঁছে দেয়া যায়। বর্তমানে মার্কিন সমরাস্ত্র হস্তান্তর বা বিক্রির যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাতে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা থাকায় অন্য দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে হলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়। ট্রাম্প এই নীতিকে আরও সহজ করতে চাইছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কনভেনশনাল আর্মস ট্রান্সফার (সিএটি) এবং আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম (ইউএএস) রফতানি নীতিতে বেসরকারি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোকে কিছু কনভেনশনাল অস্ত্র ও ড্রোন বিক্রির জন্য কংগ্রেসের অনুমতি না নেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় এবং অন্য দেশের কাছে সরাসরি এসব অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে। প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতির সহকারী প্রধান এবং হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য ও উৎপাদন নীতির পরিচালক ড. পিটার নাভারো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক সাংস্কৃতি হল ‘আমেরিকাকে কিনুন, আমেরিকাকে ভাড়া নিন’। তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নাভারো বলেন, নতুন এ অস্ত্র বিক্রি নীতি দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে আরও জোরালো করবে। আমেরিকার মিত্র ও অংশীদাররা অস্ত্রে আরও সক্ষম হবে, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে।’ ট্রাম্প প্রশাসনের এ অস্ত্র বিক্রি নীতির সমালোচনা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির আর্মস অ্যান্ড সিকিউরিটি প্রকল্পের পরিচালক উইলিয়াম হার্টাং ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতির সমালোচনা করে বলেছন, এর মাধ্যমে মানবাধিকার ও অন্য বিষয়গুলোর তুলনায় চাকরির ওপর অনেক জোর দেয়া হচ্ছে। স্টিমসন সেন্টারের পরিচালক রাচেল স্টোল বলেন, ‘সম্ভাব্য সুবিধার কথা বলা হলেও অস্ত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে ঝুঁকির কথা এ নীতিতে উল্লেখ করা হয়নি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version