এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত এবং দেশটির সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। ভারত আগেও এদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি বলে তিনি দাবি করেন।

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। বিজেপি এসে আমাদের জন্য ভোট চাইবে না, চাইতেও পারবে না। তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে খুব দৌড়াদৌড়ি করে। ইন্ডিয়া এসব করে না। আমাদের এই সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সফরে শুধু বাইলেটারাল টকস (দ্বিপাক্ষিক আলোচনা) হবে। এটা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখানে অন্য কিছু খোঁজার তো কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, সফরের পর ইন্ডিকেশন কী তা বোঝা যায়। যদিও এটা বড় ডেলিগেশন। এই সফর নিয়ে কথা উঠছে কেন? ক’দিন আগেও তো আমাদের ২০ সদস্যের বেশি প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনকে কি তাহলে আপনারা ছোট করে দেখছেন। ইন্দো-বাংলা সম্পর্ক ’৭১ সাল থেকে। রক্তের রাখিবন্ধন। একটা দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়েরই স্বার্থ থাকে। এক্ষেত্রেও তাই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত অনেক বড়। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তো সমাধান হবে না। আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’৭৪-র ল্যান্ড বাউন্ডারি চুক্তিও কিন্তু শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের ভিজিটটা যেহেতু খুব ছোট তারপরও আমাদের সব ধরনের চেষ্টা থাকবে। কথা হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই তো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রভাব আছে।

ওবায়দুল কাদের জানান, আজ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি দল ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আলোচনা হবে। এই সফরটি খুবই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্ববহ। আমাদের কর্মসূচির মধ্যে আছে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ। তারপর বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে নৈশভোজে অংশগ্রহণ। তারপরের দিন ২৩ তারিখ ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির সঙ্গে আলোচনা হবে। আর ২৪ তারিখ আমরা ভারত ত্যাগ করব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে বলেন, উনি বাম রাজনীতি করে এসেছেন। আল্লাহ-খোদার ভয় নেই। আমি এখন এই রুম থেকে অন্য রুমে যাওয়ার পর জীবিত থাকব কিনা সেটাই তো জানি না। আল্লাহ জানেন হায়াৎ-মরণের বিষয়টা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও বয়স হয়েছে, জন্মের সঙ্গে সঙ্গে উনার হায়াত আল্লাহই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে অযথা কিছু বলা উচিত নয়, শেখ হাসিনার সরকার এত নোংরা রাজনীতি করে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version