এশিয়ান বাংলা, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার পর টঙ্গীতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে ১০০ জনকে এজাহার নামীয় ও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বিকালে টঙ্গী থানার এসআই আল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হাজী সামাদ (৬০), ফরিদ আহমেদ (৪০), আব্দুর রশিদ (৫৫), শফিউল্লাহ খান (৫৫), গাজী মোশারফ (৩২), মো. আব্দুল্লাহ (৩৩), তৌহিদ মিয়া (৩২), মো. আলাউদ্দিন (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৯), সাব্বির আহমেদ (২৮), আজাদ হোসেন (৩০), মাকসুদুর রহমান (৩২)।
এছাড়া মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইজাদুর রহমান, ভাওয়াল মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসুল্লী, হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিনসহ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির দলীয় প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, কোনো ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন স্থগিত নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন শেষ করে নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার পথে তাদের আটক করে। সরকার বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। ভয়ের কারণেই তারা নানাভাবে তাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
টঙ্গীর ওসি মো. কামাল হোসেন মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতে নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারর করতে পুলিশি অভিযান চলছে।