এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : রাশিয়া তাদের স্বাধীনতা দিবসে মস্কো রেড স্কয়ারে নতুন ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র প্রদর্শনী করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান নাৎসি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ৭৩তম বার্ষিকীর উৎযাপন উপলক্ষে চলতি মাসের শুরু থেকেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের রিহার্সেল শুরু করেছে।
চলুন দেখে নেয়া যাক কী সব অস্ত্রসস্ত্র প্রদর্শনী হতে পারে।

এসইউ-৫৭ ফাইটার জেট
রাশিয়ার নিজস্ব তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিল্থ ফাইটার সুখয় এসইউ-৫৭। ২০১০ সালের দুই-ইঞ্জিনের জেটটি প্রথম উড়ে। রাশিয়ার বিমান বাহিনীতে এখনো এর অভিষেক হয়নি।
সংবাদ মাধ্যম তাস রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলে, ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় পর্যবেক্ষণমূলক দুটি এইইউ-৫৭ পাঠানো হয়েছে।

এসইউ-৫৭ যখন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে তখন এটিই প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান।

কিনজাল হাইপারসনিক মিসাইল
রাশিয়ার নতুন হাইপারসনিক মিসাইল যা কিনজাল নামে পরিচিত।গত সপ্তাহে রিহার্সেলের সময় দেখা যায়। যা গত মার্চের ১ তারিখ উদ্ধোধন করা হয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এটা শব্দের চেয়ে দশগুণ গতি সম্পন্ন এবং এন্টি ব্যালাস্টিক মিসাইলের বিরুদ্ধে কার্যকরি। এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক বোমা বহনেও সক্ষম।

ওয়াইআরএস ব্যালাস্টিক মিসাইল
ওয়াইআরএস ব্যালাস্টিক মিসাইল এসএস-২৭ নামে পরিচিত। মিসাইল ডিফেন্স এডভোকেসি অ্যালিয়েন্স (এমডিএএ) বলেছে এটা বার হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ক্ষমতাসম্পন্ন দশটি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
একইসাথে এগুলো বিশাল সাইজের পারমানবিক বোমা, রাসায়নিক বোমা অথবা বায়োলজিক্যাল বোমা বহন করতে পারবে। যেগুলো বিভিন্ন টার্গেটে ক্রমানুসারে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রধানত বানানো হয়েছে পারমানবিক বোমাগুলো বহন করার জন্য।

আরমাটা ট্যাংক
২০১৫ সালে রাশিয়া সর্বপ্রথম তাদের স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে আরমাটা টি-১৪ যুদ্ধ ট্যাংক দেখায়। আরমাটা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের ট্যাংক। টি-১৪-এ রয়েছে ১২৫মিমির স্মুথবোর আনম্যানড অটোলোডিং ক্যানন। রাশিয়া এ পর্যন্ত যতগুলো ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে, সেগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে আধুনিক ও ধ্বংসাত্মক। ওজনে হালকা এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় যেকোনো পরিস্থিতিতে এই ট্যাঙ্ক তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে। রাশিয়া তার বহবে ২০২০ সালের মধ্যে একশ আরমাটা ট্যাংক বহরে যুক্ত করবে।

এস-৪০০ এন্টি এয়ারক্রাফট
এস-৪০০। এই সিস্টেম স্টেলথ, সেমি স্টেলথ, বোমারু বিমান, ড্রোন, দ্রুত গতির জেট ও ক্রুজ মিসাইল ধ্বংসে সহায়তা করবে। এ ক্ষেপণাস্ত্র চার শ’ কিলোমিটার দূরের বিমান এবং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশে থাকা অবস্থায় ধ্বংস করে দিতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আড়াইগুণ বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে পারে এই এস-৪০০ সিস্টেম।

বাক-এম২
বাক-এম২ স্ব-চালিত মাধ্যম সারির মিসাইল যা রাশিয়ার বিমান বাহিনীর জন্য নির্মিত।
রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম বলছে, বাক-এম২ পঁচিশ কিলোমিটার উচ্চতায় বা ভূমি থেকে ৪৫ কিমি দূরত্বে একই সাথে ২৪টি লক্ষমাত্রায় টার্গেট রাখতে পারে এবং এর থেকে চারটিকে জ্বালিয়ে দিয়ে পারে।
বাক-এম২ স্থল ও সাগরে তার টার্গেটের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version