এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : বৈশ্বিক উষ্ণতা আর কখনই কমবে না। বৈশ্বিক তাপমাত্রার পরিমাণ কমিয়ে আনার যে পরিকল্পনা রয়েছে তা অর্জন করা অসাধ্য হবে। জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা বিশ্ব ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) গ্রিন হাউস গ্যাসবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ হুশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ আট লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বিশ্বের ৫১টি দেশ থেকে সংগ্রহ করা উপাত্তের ভিত্তিতে গ্রিন হাউস গ্যাসবিষয়ক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডব্লিউএমও। সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলে জমা হওয়া মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের চিত্রও তুলে ধরা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৪১০ পার্টস পার মিলিয়নে (পিপিএম) পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মৌনালোয়া অবজারভেটরি থেকে প্রতিদিনই বাতাসে কার্বনের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। সেখানে গত এপ্রিলের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠেছে। গবেষকদের আশঙ্কা, এ হারে কার্বন বাড়তে থাকলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কখনই কমবে না। বরং আরও বাড়বে।

এদিকে মহাকাশে গ্রিন হাউস গ্যাস শনাক্তকরণে নাসার একটি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। অকারণে বহু অর্থ খরচ হচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্প বাতিল করেছেন। এ কার্যক্রমের আওতায় গ্রিন হাউস গ্যাস কার্বন ও মিথেনের মাত্রা শনাক্ত করত প্রতিষ্ঠানটি। এতে বার্ষিক ১ কোটি ডলার ব্যয়ে হতো। এসব গ্যাস বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থার এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। খবর এএফপির। কার্বনের উৎস ও পরিমাণ নির্ণয়ে এবং পৃথিবী বায়ুমণ্ডলে কার্বনের প্রবাহ শনাক্ত ও হাইরেজুলেশন মডেল তৈরির জন্য পরিচিত কার্বন মনিটরিং সিস্টেম (সিএমএস) কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। সায়েন্স জার্নালে প্রথম এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। জার্নালে বলা হয়, বাজেটের সীমাবদ্ধতা এবং বিজ্ঞান বাজেটে উচ্চ অগ্রাধিকারের বাইরে এ কার্যক্রম বাতিলের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। পূর্বতন নাকা (ন্যাশনাল অ্যাডভাজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স) অবলুপ্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট অনুসারে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন মহাকাশ যাত্রায় এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিশেষ করে অ্যাপোলোর চন্দ্রযাত্রা, স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন ও স্পেস শাটল প্রভৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ৫টি সংস্থার একটি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version