এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের পরাজয়ের পেছনে অন্যতম কারণ অর্থনীতি। আর নেপথ্য নায়ক আনোয়ার ইব্রাহিম। অর্থনীতির যে ছয়টি কারণকে দায়ী করা হয় তা হলো : জীবনধারণের ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাওয়া, জিনিসপত্র ও বিভিন্ন সেবার ওপর সরকার নতুন নতুন কর আরওপ, ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি, সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে গঠিত বিশেষ তহবিল ব্যবহার, নাজিব রাজাকের ৭০ কোটি ডলার আত্মসাৎ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে মালয়েশিয়ার ভাবমর্যাদা নষ্ট করা।

দুর্নীতির অভিযোগের পরই ২০১৬ সালে বিএন ছেড়ে পাকাতান হারপানে যোগ দেন মাহাথির।

তখন তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতিকে সমর্থন দেয়া একটি দলের সাথে যুক্ত থাকা তার জন্য বিব্রতকর। পরে জানুয়ারিতে তিনি ঘোষণা দেন দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আবারো লড়াই করার কথা। মাহাথিরের বিজয়ের মূল মন্ত্র হচ্ছে : কারাগারে বন্দী বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে ক্ষমা ও প্রধানমন্ত্রী করার ঘোষণা, দেশের স্বার্থে নিজের দল ত্যাগ, নতুন দল গঠন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং তার প্রতি তরুণ প্রজন্মের আস্থা। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম মাহাথিরের মতো বয়স্ক নেতার ওপর আস্থা রাখার কারণ- তারা পরিবর্তন চাইছেন। বৃদ্ধ হলেও এখনো শারীরিকভাবে সুস্থ তিনি। সরকারের দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ মালয়েশিয়ার তরুণ-তরুণীদের কাছে মাহাথির দাদার মতো, তার বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। নবীন প্রজন্ম মনে করেন, মাহাথিরের প্রমাণ করার কিছু নেই, সবাই তার সম্পর্কে জানেন। তার বিজয়ে ঐক্য অনুভব করছেন তারা।

মাহাথিরকে খুবই দূরদর্শী, অভিজ্ঞ বলে মনে করেন তরুণ প্রজন্ম। তারা মনে করেছেন মাহাথিরই মালয়েশিয়াকে দুর্নীতি থেকে টেনে তুলতে পারবেন।

তখন তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতিকে সমর্থন দেয়া একটি দলের সাথে যুক্ত থাকা তার জন্য বিব্রতকর। পরে জানুয়ারিতে তিনি ঘোষণা দেন দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আবারো লড়াই করার কথা। মাহাথিরের বিজয়ের মূল মন্ত্র হচ্ছে : কারাগারে বন্দী বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে মা ও প্রধানমন্ত্রী করার ঘোষণা, দেশের স্বার্থে নিজের দল ত্যাগ, নতুন দল গঠন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং তার প্রতি তরুণ প্রজন্মের আস্থা। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম মাহাথিরের মতো বয়স্ক নেতার ওপর আস্থা রাখার কারণ তারা পরিবর্তন চাইছেন। বৃদ্ধ হলেও এখনো শারীরিকভাবে সুস্থ তিনি। সরকারের দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ মালয়েশিয়ার তরুণ-তরুণীদের কাছে মাহাথির দাদার মতো, তার বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। নবীন প্রজন্ম মনে করেন, মাহাথিরের প্রমাণ করার কিছু নেই, সবাই তার সম্পর্কে জানেন। তার বিজয়ে ঐক্য অনুভব করছেন তারা। মাহাথিরকে খুবই দূরদর্শী, অভিজ্ঞ বলে মনে করেন তরুণ প্রজন্ম। তারা মনে করেছেন মাহাথিরই মালয়েশিয়াকে দুর্নীতি থেকে টেনে তুলতে পারবেন।

মালয়েশিয়ায় ব্যাপক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির মুখে পড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও তার স্ত্রী রোসমাহ মানসুরকে শনিবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচনে নাজিবের জোট পরাজিত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। অভিবাসন প্রধান এ কথা জানিয়েছেন।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী বলেন, ‘অভিবাসন বিভাগ নাজিব ও রোসমাহর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরওপ করেছে।’
এদিকে নাজিব এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এই মাত্র আমাকে অবহিত করল যে আমার ও আমার স্ত্রীর বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নেই। আমি এ সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। আমার পরিবারকে নিয়ে আমি দেশেই থাকব।’ নাজিব ও রোসমাহ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাচ্ছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

এদিকে চাপের মুখে নিজ দল ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (উমনো) প্রেসিডেন্ট ও বারিসন ন্যাসিওনাল জোটের চেয়ারম্যানের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন সদ্য বিদায় নেয়া মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। শনিবার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেনারা দাতো এলাকায় দলের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তার পদত্যাগের দাবিতে দল ও জোট নেতাদের চাপ জোরালো হতে শুরু করে।

গত বুধবারের নির্বাচনে জোটের পরাজয়ের পর এর দায় নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, এক সপ্তাহের ছুটি কাটাতে গিয়ে দল ও জোটের শীর্ষ পদে থাকবেন কি না তা বিবেচনা করে দেখবেন। শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে নাজিব জানান, এখন থেকে উমনো দলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ডক্টর আহমাদ জাহিদ হামিদি। হিসামুদ্দিন হোসেন থাকবেন ডেপুটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে। তিনি বলেন, (উমনো) প্রেসিডেন্ট ও বারিসন ন্যাসিওনাল জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা মর্মাহত তবে আমাদের দল গণতান্ত্রিক মূলনীতির জায়গা থেকে ফলাফল মেনে নিয়েছে।’

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version