এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ৩৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিরোধিতা করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ না করায় তাদের মারধর করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বুধবার মধ্যরাতে হলটির গেস্ট রুমে (জুনিয়রদের ম্যানার শেখানোর নামে ছাত্রলীগের টর্চার কেন্দ্র) এ ঘটনা ঘটে। মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমনের অনুসারী। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন দাবি করেছেন ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এক শিক্ষার্থীকে নোংরা শব্দ উচ্চারণের জন্য তার সিনিয়র শাসন করেছে। এসময় সে একটা থাপ্পড় দিয়েছে। বিষয়টি পরে তিনি মীমাংসা করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরোধিতা করে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ। পূর্ব নির্ধারিত এ কর্মসূচিতে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন নিজের অনুসারীদের যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রথম বর্ষের কম সংখ্যক শিক্ষার্থী ওই কর্মসূচিতে হাজির হয়। এতে রাত ১১টায় হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে আসতে বলে। গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের কয়েকজন দেরি করে উপস্থিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপস্থিত ৩৫ জনকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল ও ঘুষি মারতে থাকে। আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রোগ্রামে উপস্থিত না হওয়ায় ও গেস্টরুমে বিলম্বে হাজির হওয়ায় তাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা যাবৎ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আর মারধরকারীরা হলেন- দ্বিতীয় বর্ষের মুনতাসির, স্মরণ, মাহিন, ইসতিয়াক, আল-আমিন, সজীব ও সাকিনসহ অনেকে। এরা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিমনের অনুসারী। এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version