এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত কোনো পৃষ্ঠপোষক বা মূলহোতার গ্রেফতার অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও র‌্যাবের চলমান এ অভিযানের প্রথম ২১ দিনে প্রায় সাড়ে আট হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাশাপাশি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৫৭ জন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা হয়েছে ২ হাজার ৮৭৮ জনের। তবে তাদের অধিকাংশই ছোট বা মাঝারি শ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী বা বাহক অথবা সেবক বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাদক ব্যবসায়ী যত প্রভাশালী হোক না কেন, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইনের আওতায় সবাইকে আসতেই হবে।

তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সরকারের পাঁচটি সংস্থার সমন্বয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিশেষ তালিকায় নাম থাকার পরও মাদকের গডফাদার, প্রভাবশালী আশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাশাপাশি সীমান্তের অনেক পয়েন্ট দিয়ে অব্যাহত রয়েছে দেশে মাদক প্রবেশ। বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত রেখে অভিযান কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থার তদন্তে যেসব ‘গডফাদার’ বা পৃষ্ঠপোষকের নাম এসেছে তাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদকের মূলোৎপাটন সম্ভব নয়। মাদকের তালিকায় থাকা বর্তমান ও সাবেক ২৫ সংসদ সদস্যসহ সাড়ে ৪০০ জনপ্রতিনিধি এখনও থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এমনকি মাদক সিন্ডিকেটে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনেক সদস্য জড়িত থাকার বিষয়েও অভিযোগ উঠেছে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের আরও অভিমত, শুধু অভিযান পরিচালনা করেও মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। কার্যকর অভিযানের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মাদকবিরোধী অভিযান সফল হওয়ার প্রথম দুটি শর্ত হল- মাদকের রুট বন্ধ করা এবং মাদকের বিনিয়োগকারীদের আইনের আওতায় আনা। চলমান অভিযানে এ দুটি বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অভিযানের শুরু থেকেই বলে আসছেন, মাদক বিক্রেতারা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির নাম সবার শীর্ষে। তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নেই।

দলমত নির্বিশেষ সবার চাওয়া দেশ থেকে মাদক নির্মূল হোক। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিনা বিচারে হত্যার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কারা আমরা জানি না। মাদক সম্রাট তো সংসদেই আছে। তাদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিও মাদকবিরোধী অভিযান চায়, তবে এটা হতে হবে অরাজনৈতিক। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।

তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাদক কারবারিরা অস্ত্র নিয়ে মোকাবেলা করছে বলেই ‘এনকাউন্টার’ হচ্ছে এবং একে বিচারবহির্ভূত হত্যা বলা যায় না। আবদুর রহমান বদিকে মাদক পাচারের অভিযোগে ধরতে হলে তার আগে ‘প্রমাণ লাগবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, মাদকের আগ্রাসন আমাদের চিন্তায় ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের কোনো স্থান নেই। যে কোনো মূল্যে মাদকের আগ্রাসন থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে।

বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিবুর রহমান বলেন, সীমান্তের যেসব পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসে আমরা সেই পয়েন্টগুলোতে বিশেষ নজরদারি করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থার সমন্বয়ে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যেসব পয়েন্টের কথা বলেছে সেগুলোতেও আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। মাদক নির্মূলে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর আমরা আমাদের পদক্ষেপ আরও জোরদার করেছি।

বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, দেশে মাদক আসছে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে। সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারত ফেনসিডিলের কারখানা স্থাপন করছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতায় না এলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। অপরদিকে যারা মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এভাবে মানুষ হত্যা করে মাদক নির্মূল করা যাবে না।

বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম নেহাল করিম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যারা মারা গেছে তারা বাহক। যারা মাদক আমদানি করছে, যারা বিনিয়োগ করছে তারা ধরা পড়ছে না।

এতে মনে হচ্ছে, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান লোক দেখানো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে মাদকের মূল হোতা এবং বিনিয়োগকারী কারা। কারা দেশব্যাপী মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটাও তারা জানে। মাদকের বাহক মারা গেলে মূল হোতাদের কোনো সমস্যা নেই।

কক্সবাজারে মাদকের মূল আমদানিকারক এমপি বদি। তাকে তো ধরা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তার বিরুদ্ধে প্রমাণ নেই। এভাবে কখনোই মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়।

বিশেষ অভিযানে গডফাদাররা ধরা পড়ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে অনেক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীই জালে আসবে।

পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক নির্মূল করা একক কোনো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে না। এটা বন্ধ করতে হলে ‘সাপ্লাইলাইনে’ আঘাত করতে হবে। মাদকের রুট বন্ধ করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তবে মাদক পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে, মাদকের স্পটগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। যে এলাকায় বেশি মাদকের প্রাদুর্ভাব সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, মাদক নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে সচেতনতার কাজ হচ্ছে। সব এলাকায় স্থানীয়দের নিয়ে সমন্বিতভাবে এ কাজটা চালিয়ে যেতে হবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে, যাদের সঙ্গে মাদক পাচ্ছি, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যাদের বিরুদ্ধে মাদকসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের কোনো দলীয় পরিচয় দেখা হচ্ছে না। চলমান মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, সারা দেশে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সারা দেশে মাদকের গডফাদার, শীর্ষপর্যায়ের ব্যবসায়ী, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী অভিযান চলছে।

গা-ঢাকা দিয়েছে গডফাদাররা : ঘোষণা দিয়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পর গা-ঢাকা দিয়েছে ঢাকাসহ সারা দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর ৩৭ গডফাদারও থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু রাজধানী নয়, রাজধানীর বাইরেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ গডফাদারই আত্মগোপনে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার মাদকের গডফাদার ইশতিয়াক ওরফে কামরুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মোহাম্মদপুরের আরেক গডফাদার নাদিম ওরফে পঁচিশও ধরাছোঁয়ার বাইরে। শীর্ষ এই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা থাকলেও গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে মাত্র ১২ দিন। দাপুটে মাদক কারবারি নাদিমের ওপর ছায়া হয়ে থাকে স্থানীয় রাজনৈতিক, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। উত্তরা এলাকায় মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র আধিপত্য ফজলুল করিমের হাতে। গডফাদার রিয়াদ উল্লাহ, সাব্বির হোসেন, এনায়েত করিম, শরিফ ভুইয়া ও ইতি বেগম, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, নার্গিস ওরফে মামির নিয়ন্ত্রণে বাড্ডা, ভাটারা, গুলশান ও বনানী এলাকার মাদক ব্যবসা। অভিযানের মধ্যে তারাও গা-ঢাকা দিয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গা-ঢাকা দিয়েছে চট্টগ্রামের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। গত এক সপ্তাহে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চট্টগ্রামে নিহত হয়েছে পাঁচজন। যারা তৃতীয় ও চতুর্থ সারির মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামের শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। তারা সবাই এখন পলাতক। তাদের মধ্যে অনেকে ভারতে পালিয়ে গেছে। নগরীর মাদকের আখড়া বরিশাল কলোনির নিয়ন্ত্রক প্রায় ২ ডজন মামলার আসামি ইউসুফ গ্রেফতার এড়াতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফ ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। বাকি মাদক ব্যবসায়ীর অনেকে গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে টেকনাফ-কক্সবাজারের অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। আনোয়ারা, দুধকুমর, গহিরা, খোদ্দ গহিরা, বারশত, পরুয়াপাড়া থেকেও অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী গা-ঢাকা দিয়েছে।

রাজশাহী ব্যুরো প্রধান জানান, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পরপরই গা-ঢাকা দিয়েছে রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্তের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা গা-ঢাকা দিলেও তাদের মাদকের কারবার এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। জানা গেছে, রাজশাহীর পবা, গোদাগাড়ী, বাঘা ও চারঘাট ছাড়াও পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সিন্ডিকেটগুলো সক্রিয় রয়েছে আগের মতোই। সীমান্তপথে ফেনসিডিল এনে দেশের অভ্যন্তরে চালান করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আগের মতোই ইয়াবা এনে শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও গ্রামপর্যায়ে। অন্যদিকে হেরোইনের আন্তর্জাতিক রুট গোদাগাড়ীর মাদক সম্রাটরা এলাকা ছেড়ে পদ্মার চরে, কেউবা বরেন্দ্র অঞ্চলে আত্মগোপন করেছে। তবে তাদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবা উপজেলার বেড়পাড়া, সোনাইকান্দি, খোলাবোনা, গহমাবোনা, বিয়ানাবোনা, খরচাকা, হাড়–পুর সীমান্তের শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী এখনও অধরাই রয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, পবার হরিপুর, কসবা, বেড়পাড়া ও সোনাইকান্দি সীমান্ত পথে এখনও ফেনসিডিল এনে চালান করছে একাধিক মাদক সিন্ডিকেট। ফেনসিডিল চোরাকারবারীরা এলাকায় না থাকলেও তাদের সিন্ডিকেট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এসব এলাকায় চলছে ইয়াবার ব্যবসাও। বিশেষ করে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের কাশিয়াডাঙ্গা থেকে আলিমগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কের দুই ধারে ফেনসিডিল ও ইয়াবার কেনাবেচা আগের মতোই চলছে। এসব এলাকায় মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য আগের মতোই রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের একটি অংশের মদদে দীর্ঘদিন ধরে চলা মাদকের এসব আড্ডায় বেচাকেনা ঠেকাতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version