এশিয়ান বাংলা, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে সজল নন্দী (৪৮) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে নগরীর বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজ বাসার ভেতরে এই ব্যাংক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করেছে- এ ব্যাপারে রোববার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। সজল ব্যাংকের চাকরির পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন এবং সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি এবং জড়িত কেউ গ্রেফতারও হয়নি। সজল নন্দী নগরীর সল্টগোলা এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সল্টগোলা শাখায় ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। বিবাহিত সজলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে। কারা কী কারণে সজলকে হত্যা করেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল। সজল ওই বাসায় তিন বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, সজল ও তার স্ত্রী রুমা দে ওই বাসায় থাকতেন। দু’জনই চাকরিজীবী। স্ত্রী রুমা দে সকালে বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে যান। বাসায় তখন সজল ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সকাল ১১টার দিকে ওই বাসায় চেঁচামেচি শুনতে পান অন্য ভাড়াটিয়ারা। পারিবারিক ঝগড়া ভেবে কেউ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি। পরে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা দেখতে পান, দরজা খোলা অবস্থায় বাসার ভেতরে সজলের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলা কাটা অবস্থায় ছিল। বন্দর থানার এসআই আবু হানিফ যুগান্তরকে জানান, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সজল অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি শার্ট, প্যান্ট পরা অবস্থায় ছিলেন। এমনকি পায়ে জুতা-মোজাও পরা ছিল। এর মধ্যে ওই বাসায় কারা ঢুকেছিল সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারও সঙ্গে বিরোধ ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘নিজ বাসা থেকে সজল নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। ওই বাসায় কারা কারা যাতায়াত করত খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।’

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version