এশিয়ান বাংলা, ঢাকা: শিক্ষার্থী না পাওয়াসহ নানা অভিযোগের সারা দেশে ২০২টি মাদরাসা বন্ধ করেছে সরকার। চলতি বছর থেকে এসব মাদরাসা আর কোন শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এসব মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী স্বীকৃত কোন মাদরাসায় রেজিস্ট্রেশন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম সাইফুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, এসব মাদরাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ছিল। পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে কোনো পরীক্ষায় তারা অংশ গ্রহণ করেনি। কেন শিক্ষার্থী নেই তার কারণ জানতে চেয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এরমধ্যে অনেকেই এর জবাব পর্যন্ত দেয়নি। যারা দিয়েছে তাদের জবাব সন্তোষজনক নয়। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
মাদরাসা বন্ধে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গতকাল এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এতে বলা হয়, এসব মাদরাসা দাখিল স্তরের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বা কেন্দ্রস্থিত মাদরাসায় রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়। বন্ধ করার ব্যাখ্যায় বোর্ড বলেছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের দাখিল পাবলিক পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেনি। এর কারণ জানতে চেয়ে এসব মাদরাসা প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে অনেকেই এর জবাব দেয়নি, আর যারা জবাব দিয়েছে তাতে বোর্ড সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এ কারণে এসব মাদরাসার অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ অনলাইনে পাসওয়ার্ড, মাদরাসা কোড নম্বর ও ইআইআইএন নম্বর বন্ধ করে দেয়া হলো।
মাদরাসা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ হওয়ার মাদরাসার মধ্যে বাগেরহাটে ৪টি, বড়গুনা ৫টি, বরিশালে ২টি, ভোলা ৬টি, বগুড়া ৪টি, বাহ্মণবাড়িয়া ১টি, চাঁদপুরে ১টি, চাঁপাইনাববগঞ্জে ২টি, চট্টগ্রামে ১টি, কুমিল্লায় ৩টি, দিনাজপুরে ১৯টি, গাইবান্ধা ১২টি, যশোর ৫টি, ঝিনাইদহে ১টি, জয়পুরহাটে ২টি, খাগড়াছড়ি ১টি, খুলনা ৪টি, কিশোরগঞ্জে ১টি, কুড়িগ্রামে ১টি, কুষ্টিয়া ৩টি, লালমনিরহাটে ৫টি, মেহেরপুরে ১টি, ময়মনসিংহে ৪টি, নওঁগা ১টি, নাটোর ১১টি, নড়াইলে ১টি, নেত্রকোনা ১টি, নীলফামারি ৩টি, নোয়াখালী ১টি, পাবনা জেলায় ৫টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, পটুয়াখালীতে ৭টি, রাজবাড়িতে ২টি, রাজশাহীতে ১১টি, রংপুরে ৯টি, সাতক্ষীরা ৫টি, সিরাজগঞ্জে ১০টি, সিলেটে ১টি, ঠাকুরগাঁও-এ ২৬টি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version