এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মনোনয়নপত্র পূরণ নিয়ে লাহোর হাইকোর্ট ও নির্বাচনী সীমানা নিয়ে বেলুচিস্তানের হাইকোর্টের রায়ে এ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) সরদার মোহাম্মদ রাজা পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির রাজনৈতিক দলের মধ্যেও বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। খবর ডনের।

নির্বাচনী মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে শুক্রবার আপত্তি তোলেন লাহোর ও বেলুচিস্তানের হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের নির্বাচন অ্যাক্ট অনুমোদিত মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অপরাধ রেকর্ড সংযোজিত থাকা সত্ত্বেও তা বাদ দেয়া হয়। লাহোর হাইকোর্ট ওই মনোনয়নপত্র আধুনিকায়ন করার নির্দেশ দেন। এর আগে নির্বাচনী সীমানা নিয়ে আপত্তি তোলেন বেলুচিস্তান হাইকোর্ট।

আদালত জানান, কোয়েটা প্রদেশের আটটি প্রাদেশিক আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈষম্যমূলক। নতুন করে সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেন আদালত। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময়ের কয়েক দিন আগে দুই হাইকোর্টের এমন রায়ে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

একজন ইসি কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এখন পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। দু’মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রার্থীরা যখন মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ঠিক তার আগে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকমহলে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কীভাবে হবে ও নির্বাচনে মনোনয়নপত্র কেমন হবে, সেটা একান্তই ইসির বিষয়।

যেহেতু আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, তাই ইসিও উচ্চ আদালতে যাবে। এদিকে দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ের লোকদের মুখোশধারী পুলিশ গুম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে ১৪০ শিয়া গুম হয়েছেন। মসজিদের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় দেখা গেছে, ৩০ বছর বয়সী নাঈম হায়দারের দুই হাত পেছনে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তির মুখে মুখোশ ও পুলিশের পোশাকে রয়েছে। ২০১৬ সালে নিখোঁজের পর হায়দারের আর কোনো খোঁজ নেই।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version