বিশেষ প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা হলেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। আর ওই সরকারের মন্ত্রীসভায় কারা থাকবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত নিবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বল্প পরিসরে এই সরকার গঠন করা হবে জানা গেলেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেননি আওয়ামী লীগের কোনও নেতা। তবে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য দল থেকে নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রস্তাবে অন্য দলের কেউ রাজি হলে ছোট আকারের ওই মন্ত্রিসভায় তারাও থাকতে পারেন। আর তা নাহলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।
জানা গেছে, টেকনোক্র্যাট কোটায়ও সর্বোচ্চ দুই বা  তিনজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বলতে সংবিধানে কোনও কিছু নেই। তবে এসময়ের মন্ত্রিসভা ছোট করা হয়। মূলত, এই ছোট করাটাকেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার বলে। ওই নেতারা আরও জানান, মন্ত্রিরা নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারেন না। ফলে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নামাতে অনেককে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এছাড়া, নির্বাচনের সময়ে যেহেতু সরকারকে দৈনন্দিন কাজের বাইরে অন্য কোনও কাজ করতে হয় না, তাই মন্ত্রিসভার পরিসর ছোট করা হয়।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী নেতারা আরও বলেন, ছোট মন্ত্রিসভা সাজানোর একমাত্র এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। ফলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ওই মন্ত্রিসভা নিয়ে কারও কোনও মতামত বা জানার সুযোগ নেই। তিনিই ঠিক করবেন— কত সদস্যের মন্ত্রিসভা উনি করবেন, কাকে সেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দেবেন।
সূত্রমতে, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় অবশ্যই অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের রাখা হবে। ওই সূত্রগুলো আরও জানায়, যারা নির্বাচনে নিশ্চিত বিজয়ী হবেন, প্রচারে যেতে হবে না, এমন নেতারা ওই  মন্ত্রিসভায় থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের তিন মাস আগে মন্ত্রিসভা ছোট করা হবে, যাকে নির্বাচনকালীন সরকার বলেই ধরে নওয়া হয়। তবে এই মন্ত্রিসভা কখন হবে, কারা থাকবেন ওই মন্ত্রিসভায়, এটা কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘ওই মন্ত্রিসভা গঠনের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি ছাড়া এ ব্যাপারে কারও সঠিক কিছু জানা আছে বলে আমি মনে করি না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সরকার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করবে, এটা সংবিধানে আছে। সে অ‍নুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা সরকার  গঠন করবেন। এখানে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা থাকতেও পারেন, আবার কেউ বাদও পড়তে পারেন। ওই মন্ত্রিসভা নির্বাচনের  এখতিয়ার কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করবে। ওই সরকারে কারা থাকবেন, এটা শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়।’

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version