এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : কোটা সংস্কার নিয়ে গঠন হওয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ। এর আগে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার কোটা সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ চলার সময় ফারুককে তুলে শাহবাগ থানায় দিয়ে আসেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। মঙ্গলবার ফারুকের বড় ভাই মো. আরিফুল ইসলাম শাহবাগ, রমনা ও নিউমার্কেট থানায় গিয়ে তাঁর ভাইয়ের সন্ধান পাননি। শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়েছে, ফারুক হোসেন নামের কেউ সেখানে গ্রেপ্তার নেই।
সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। তাদের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনকে মোটরসাইকেলে করে তুলে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান ছাত্রলীগের এক কর্মী।
ফারুকের ভাই আরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার জানান, ভাইয়ের খোঁজে তিনি শাহবাগ, রমনা ও নিউমার্কেট থানায় যান। কিন্তু কোথাও পাননি। তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আল আমিন নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী তাঁকে জানান, তিনিই ফারুককে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় দিয়ে আসেন। আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফারুককে তিনি তাঁর মোটারবাইকে করে শাহবাগ থানায় দিয়ে এসেছিলেন।
ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, ফারুকের বিরুদ্ধে মহামারি অভিযোগ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, ‘কোটা সংস্কার চাই’—এই ফেসবুক পেজ থেকে ‘সরকারবিরোধী’ কথাবার্তা ছড়ানো হয়। যেহেতু ফারুক হোসেন ওই প্ল্যাটফর্মের যুগ্ম আহ্বায়ক, তাই তিনিও দোষী।
মঙ্গলবার ফারুকের বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। একপর্যায়ে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার রমজান হোসেন ফোন ধরে বলেন, থানায় ফারুক হোসেন নামের কেউ গ্রেপ্তার নেই। কোনো মামলাও নেই।