এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটি ইসরাইলি বিমানকে আঘাত করার পাশাপাশি একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। রোববার রাতে হোমস প্রদেশের টিফোর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছিল বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এক ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র বলেন, ইসরাইল বিদেশী খবরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে না।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসএএনএ জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, শুধু কিছু বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে। এসএএনএতে প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে সিরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইসরাইলের একটি আগ্রাসন রুখে দিয়েছে, টি ফোর বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। এয়ার ডিফেন্স হামলাকারী বিমানগুলোর মধ্যে একটিকে আঘাত করেছে এবং বাকি বিমানগুলোকে সিরিয়ার আকাশসীমা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

সাত বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সূত্রে প্রতিবেশী সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইল। সম্প্রতি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মিত্র ইরান, রাশিয়া ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের একের পর এক সাফল্যে শঙ্কিত ইসরাইল। এর আগে সিরিয়ার ভেতরে ইরানি স্থাপনা ও লেবাননের তেহরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ও সরবরাহ লাইনে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

তাইওয়ান প্রণালীতে শনিবার দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর এক দিন পর এ ঘটনা ঘটল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এ খবর জানিয়েছে। ফলে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনায় আরো মাত্রা যোগ হলে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও তাইওয়ানকে আলাদা করা নৌসীমায় শনিবার সকালে দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করে। ইউএসএস মাস্টিন ও ইউএসএস বেনফোল্ড নামের জাহাজ দু’টি শনিবার রাতেও আন্তর্জাতিক নৌসীমা হিসেবে পরিচিত এলাকায় অবস্থান করছিল বলে নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার আত্মবিশ্বাস তাদের রয়েছে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন চারলি ব্রাউন বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ দু’টি ওই এলাকা অতিক্রম করছে। তবে এর কৌশলগত তাৎপর্য নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, ‘মার্কিন নৌজাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে যেতে তাইওয়ান প্রণালী ব্যবহার করেছ। বহু বছর ধরেই এটি করা হয়ে থাকে।’ তবে এমন এক সময়ে এই যুদ্ধজাহাজ ওই নৌসীমায় প্রবেশ করল যেদিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আবার একই সময়ে বেইজিং ও তাইপের মধ্যেও চলছে উত্তেজনা।

শুক্রবার ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছেন মার্কিন প্রেসেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে। বেইজিং একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘বাণিজ্যিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও তাদের একত্র রাখতে চায় বেইজিং।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version