এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পরমাণু অস্ত্রের একতরফা নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব গত রোববার পিয়ংইয়ং অত্যন্ত ক্রুদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় আবারও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এর আগে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মাঝে দুইদিন ধরে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র গ্যাংস্টারের মত আচরণ করছে বলে এর আগে অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ব্যাপারে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিস্তারিত জানাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এখন টোকিওতে অবস্থান করছেন। অবশ্য উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনাকে পম্পেও ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করলেও বৈঠকের বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের মন্তব্যের ব্যাপারে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার ‘গঠনমূলক বৈঠক’ হয়েছে এবং এতে তারা উভয়ে উত্তর কোরিয়ার উপর সর্বোচ্চ চাপ বজায় রাখার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এরপর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাং কিয়ুং-হা’র সাথে মাইক পম্পেওর বৈঠক করার কথা ছিল।

বৈঠকের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কঠোর ভাষায় মন্তব্য ও বিবৃতিকে দেশটির কৌশলগত অবস্থান বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। কিন্তু পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই ধরনের মন্তব্য করাকে উত্তর কোরিয়ার পূর্বের মার্কিন বিরোধী অবস্থানে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন তারা। অবশ্য এই মার্কিন কর্মকর্তারা নিজেদের নাম উল্লেখ করে বা আনুষ্ঠানিকভাবে এই মন্তব্য করতে রাজী হননি।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-তে প্রকাশিত অজ্ঞাত কূটনীতিকের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য উত্তর কোরিয়াকে একতরফাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে এবং এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের স্পৃহা নষ্ট করছে। বিবৃতিতে ঐ কূটনীতিক আরো বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক কিছু করবে বলে আশা করেছিলাম আমরা। ভেবেছিলাম বিনিময়ে আমরা কিছু পাব। যুক্তরাষ্ট্র যদি ধৈর্যহারা হয়ে গ্যাংস্টারের মতো দাবি-দাওয়া উত্থাপন করতে থাকে, আর ভাবে উত্তর কোরিয়া সে দাবি পূরণে বাধ্য হবে, তবে দেশটি মারাত্মক ভুল করছে।’

উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ং ইতোমধ্যেই একটি পারমানবিক পরীক্ষাগার ধ্বংস করেছে। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা করেন এবং এটাকে ‘শান্তির জয়’ বলে অভিহিত করেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version