এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভুটানের ডোকলাম সীমান্তে বিরোধের পর বেইজিংয়ের মন রেখে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে দিল্লি। সম্প্রতি চীনের অনুরোধে তাইওয়ানগামী বিমানের নাম পরিবর্তন করে ‘চাইনিজ় তাইপেই’ করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও চীনকে নিয়ে নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা কমছে না। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক গোপন প্রতিবেদনে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য নিজেদের নৌবাহিনীর একটি বিশেষ শাখা তৈরি করছে চীন। ‘ব্লু ওয়াটার নেভি’ নামের এই বিশেষ বাহিনী চীনের কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। নিজেদের আঞ্চলিক নৌসীমার বাইরেও কিছু সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে এই নতুন উদ্যোগে। এছাড়া বাড়তি সাবমেরিন, ছোট রণতরী (ফ্রিগেট) এবং ডেস্ট্রয়ার রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ২০১৭ সালে চীন বিশ্বের এক নম্বর আমদানি এবং রফতানিকারক দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল দিয়ে চীনের বাণিজ্যও বেড়ে গিয়েছে গত কয়েক বছরে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের একটি বড় অংশই হয় এই নৌপথে। এই সমুদ্রপথের দখলদারি নিয়ে ভবিষ্যতে সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাকিস্তানের গদর বা শ্রীলংকার হাম্মানতোতার সঙ্গে চিনের যোগাযোগ ক্রমশই বাড়ছে। এই মুহূর্তে গদরে চীনা সেনার উপস্থিতি না থাকলেও যে ভাবে সমুদ্রপথে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে বেইজিং, তাতে এই বন্দরগুলো কিছু দিনের মধ্যেই তাদের হাতে চলে যেতে পারে।

অর্থনৈতিক ক্ষমতার ক্রমবৃদ্ধি এবং ওবর প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও ড্রাগনের দাপট বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে ভারত।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version