এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : কেবল কাক নয়, গাধা থেকে ডলফিন, আরও নানা পশুদেরও মধ্যে এমন অভ্যাস লক্ষ করা যায়।সামাজিক পক্ষী হিসেবে কাকের নাম সবারই জানা। এমনকী, একটি কাক মারা গেলে অন্য কাকেরা যেভাবে হইচই করতে থাকে মৃতদেহটি ঘিরে তা সকলেরই জানা। কিন্তু কেবল এইটুকুই নয়। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় অদ্ভুত ঘটনা। কোনও কোনও কাক গিয়ে মৃত কাকটির সঙ্গে সঙ্গম করতে থাকে। কেন এমন কাণ্ড করে কাকেরা? গবেষণায় নেমে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভসায়েন্স.কম’-এ প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রবন্ধ।
সেখানে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই প্রবন্ধে জানানো হয়েছে, কেবল কাক নয়, গাধা থেকে ডলফিন, আরও নানা পশুদেরও মধ্যে এমন অভ্যাস লক্ষ করা যায়।

কাকের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু তাদের এহেন ‘নেক্রোফিলিয়া’ নিয়ে এর আগে সেই অর্থে গবেষণা হয়নি। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক কায়েলি সুইফ্ট ও জন মারজুলুফ এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ফিলোজফিক্যাল ট্রানজ্যাকশন অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি-র জার্নালে।

সাধারণত দেখা যায়, একটি কাক মারা গেলে অন্য কাকেরা তার আশপাশে জড়ো হয়ে ডাকতে থাকে। তারা ভীত হয়ে খোঁজার চেষ্টা করে ওই কাকটি মারা গেল কেন। সেই পরিস্থিতিতে কোনও কোনও কাক কেন মৃত কাকের সঙ্গে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হয়, তা ভাবিয়ে তুলেছিল এই গবেষকদের। তাই তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন।

কাকেদের সামনে মৃত কাক-সহ অন্য পাখির মৃতদেহ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। দেখা যায়, ২৫ শতাংশ কাক মৃত পাখিদের দিকে গেলেও মাত্র ৪ শতাংশ তাদের সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। সুতরাং ওই সংখ্যালঘু কাকেদের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ কারণ নিশ্চয়ই আছে, এমনটাই ধারণা হয় গবেষকদের।

দেখা যায়, যে কাকেরা সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছে, তারা বেশ হিংস্র আচরণ করছে। গবেষকরা মনে করছেন, প্রজনন ঋতুর সময়ে শারীরিক উত্তেজনায় কোনও কোনও কাক খানিকটা সংশয়-সহ মৃত কাকের সঙ্গে মিলিত হয়। তারা অত্যন্ত ক্ষিপ্র অবস্থায় থাকে বলে, সামনে মৃত কাক পেলে তার সঙ্গেও সঙ্গম করে ফেলে। কাকটি জীবন্ত নাকি মৃত, তা খেয়াল করে না তারা।

তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেক গবেষণা প্রয়োজন বলেই গবেষকদ্বয়ের ধারণা।

সূত্রঃ এবেলা

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version