এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবারও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা। এ দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নয় দাবিতে বিক্ষোভন করছে তারা। রাজধানীর ফার্মগেট, উত্তরা, মিরপুর ও ধানম-ির বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

মিরপুরের সনি সিনেমা হলের সামনেও বিক্ষোভ করছেন মিরপুর কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে মিরপুর ১ থেকে ১০ নম্বর সেকশনের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশের পশ্চিম বিভাগের সহকারী কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান।

ফার্মগেটের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ; কে সে নরপিশাচ আজো হাসে, আর উই স্টিল সেফ? শখে আসিনি; ফাঁসির দাবিতে এসেছি’ এসব প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ¯ে¬াগান দিতে থাকে।
এ বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের নয় দফা দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানায়। এসময় এ এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে দাবি মেনে আশ্বাস দিয়ে বুঝিয়ে কলেজে প্রাঙ্গণে পাঠিয়ে দেয়।

ধানম-ির আইডিয়াল, গভার্নমেন্ট ল্যাবরেটরি, সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের কিছু শক্ষার্থী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও এফিফ্যান্ট রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে শাহবাগ ও নিউ মার্কেটের সঙ্গে জিগাতলা ও মিরপুর রোডের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের হোটেল র‌্যাডিসনের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় নির্মমভাবে প্রাণ হারান কলেজের দুই শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। হতাহতের শিকার প্রত্যেকেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। এরা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দিনভর নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- বেপোরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে; নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে;. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে; প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে; শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে; শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে; রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ করতে হবে এবং বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version